হোম খুলনাঝিনাইদহ কালীগঞ্জে জ্বিনের ডাক্তার সেজে প্রতারণা : প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা

কালীগঞ্জে জ্বিনের ডাক্তার সেজে প্রতারণা : প্রতিদিন হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 144 ভিউজ

শিপলু জামান, কালীগঞ্জ (ঝিনাইদহ) :

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে সাধারণ রোগীদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে জ্বিন দ্বারা চিকিৎসার নামে এবং নিজ নামের আগে কবিরাজ লাগিয়ে মোঃ মুন্না হাসান ইমন (১৮) নামের এক যুবকের নামে রোগীদের নিকট থেকে প্রতারণার মাধ্যমে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। প্রতারক কথিত এই কবিরাজ উপজেলার ৩ নং কোলা ইউনিয়নের কাদিরডাঙ্গা গ্রামের মোহাম্মদ মন্তেজ আলী এবং ফিরোজা বেগম দম্পতির বড় ছেলে।

কথিত জ্বিনের ডাক্তার নামে পরিচিতি পাওয়া মুন্না হাসান ইমনের ব্যাপারে তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, তিনি রোগীদের বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার নামে নিজ ও পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন এলাকার সহজ-সরল সাধারণ মানুষের নিজের বশে আনা একাধিক জ্বিনের দ্বারা চিকিৎসা প্রদানের কথা বলে প্রতারণা করে চলেছেন। তার নিকট আসা রোগীদের মধ্যে নারীদের সংখ্যাই বেশি। প্রত্যেক রোগীকে প্রথম ৫০ টাকা দিয়ে সিরিয়াল রশিদ সংগ্রহ করতে হয়। তারপর সিরিয়াল মেনে একটি ছোটো টিনের ঘরে অত্যন্ত গোপনীতা রক্ষা করে মোবাইলবিহীন রোগীকে প্রবেশ করানো হয়। টিনের ঘরে বসে থাকা ভুয়া কবিরাজ মুন্না নানারকম আয়ুর্বেদিক ও গাছগাছালির ঔষধ, তেল পড়া , পানি পড়া এবং তাবিজ রোগীদের হাতে ধরিয়ে দিয়ে ৫ শত থেকে ৭ শত টাকা আদায় করে নেন। এই প্রতারক জনপ্রতি অধিকাংশ রোগীর নিকট থেকে ৭ শত থেকে ১ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিচ্ছেন বলে একাধিক অভিযোগ রয়েছে তার বিরদ্ধে ।

প্রতারক কবিরাজের মা ফিরোজা বেগমের সাথে এই প্রতিবেদকের কথা হলে তিনি বলেন, বর্তমানে দূর-দূরান্তের মানুষ রাত ২ টা থেকে আসা শুরু করে আমাদের বাড়িতে। সপ্তাহে সোমবার ও শুক্রবার জ্বিনের ডাক্তার বসে আমার ছেলের ঘাড়ে ।
পার্শ্ববর্তী জেলা মাগুরার শালিকা থেকে প্যারালাইসিস রোগী হান্নান বিশ্বাসকে তার পরিবারের লোক এই কবিরাজের কাছে দেখাতে নিয়ে এসেছেন। এখানে আগেও দুদিন এনেছেন হান্নান বিশ্বাসকে। অনেক টাকার ওষুধও দিয়েছিল কবিরাজ ছেলেটা কিন্তু কোন কাজ হয়নি ।

কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আলমগীর হোসেন জানান, জ্বীনের দ্বারা চিকিৎসার বাস্তবিক কোন ভিত্তি নেই। প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে ওই কবিরাজের বাড়িতে যেয়ে তার কার্যক্রম যাচাই করে দেখা হবে।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইসরাত জাহান জানান,প্রথমত মানুষকে সচেতন হতে হবে। নিজেদের মধ্যে উপলব্ধি আসতে হবে যে, তিনি চিকিৎসার নামে প্রতারণার শিকার হচ্ছেন কিনা সে ব্যাপারে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা ওই কবিরাজের ব্যাপারে খোঁজখবর নেব। প্রতারণা এবং অনিয়ম কিছু পেলে তার বিরদ্ধে নেওয় হবে ব্যবস্থা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন