নড়াইল প্রতিনিধি :
নড়াইলের কালিয়ায় স্বামীর ইন্ধন ও সহযোগীতায় এক গৃহবধুকে দলবেধেঁ ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী নিজে বাদি হয়ে রোববার রাতের ধর্ষণের ঘটনায় সোমবার রাতে (২১জুন) স্বামী আতাউর রহমানসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ৪ ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। অপরদিকে সেনাসদস্য স্বামী আতাউর রহমানকে যশোর সেনাসিবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার সালামাবাদ ইউনিয়নের বিলব্যউচ গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে বর্তমানে যশোর সেনানিবাসে কর্মরত আতাউর রহমানের সঙ্গে প্রায় ১০ বছর আগে ওই গৃহবধুর বিয়ে হয়। ইতিমধ্যে তাদের ঘরে জন্ম নিয়েছে ৩টি সন্তান। কিছুদিন ধরে স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি হলে স্বামী তাকে নানা ভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এরই মধ্যে ওই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ ওই গৃহবধূকে নানা ভাবে উত্যক্ত করতে থাকে। রোববার রাত ২ টার দিকে রিয়াজসহ স্থানীয় ৪ যুবক ওই বাড়িতে হানা দিয়ে তাকে ডেকে তোলে এবং দরজা খুলতে বলে। কিন্তু গৃহবধূ দরজা খুলতে রাজি না হলে তখন ধর্ষকরা তার স্বামীকে মোবাইল ফোনে জানায়। তার স্বামী তাকে সেনানিবাস থেকে মোবাইল ফোনে দরজা খোলার নির্দেশ দিলে গৃহবধু ঘরের দরজা খুলে দেয়। এরপর ধর্ষকরা ঘরে ঢুকে তার সন্তান ও প্রতিবেশী পারভেজ মোল্যাকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেয়।পরে তারা দরজা আটকে গৃহবধুকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণদৃশ্যের ভিডিও ধারণ করে যশোরে থাকা স্বামী আতাউরের মোবাইল ফোনে পাঠাতে থাকে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদি হয়ে সোমবার রাতে স্বামী আতাউর রহমানসহ একই গ্রামের জাফর শেখের ছেলে রিয়াজ শেখ (২৪),ফিরোজ হোসেনের ছেলে মিল্লাত হোসেন (২৮), মৃত খোকা মোল্যার ছেলে দীন মহম্মাদ কালু (২২) ও ইমরুল মোল্যার ছেলে তালহা জোবায়ের আশিককে (২১) আসামী করে মামলা দায়ের করে।
অপরদিকে ঘটনার পর আতাউর রহমান ছুটি নিয়ে বাড়িতে আসে। তখন স্ত্রীর অভিযোগে ও ওই মামলার আসামী হওযার কারণে পুলিশ তাকে হেফাজতে নেয়।
কালিয়া থানার ওসি সেখ কনি মিয়া বলেন,‘গৃহবধুকে ধর্ষণের ঘটনায় ৪জনকে গ্রেফতার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। স্বামী আতাউরকে যশোর সেনানিবাসে হস্তান্তর করা হয়েছে।
২২জুন মঙ্গলবার দুপুরে গৃহবধুকে পরিক্ষার জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।