নড়াইল অফিস:
নড়াইলের কালিয়ায় ভাতিজা মাসুম শেখের (২২)হাতে থাকা সাইজকাঠের আঘাতে চাচা মিলু শেখের (৬০) মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৭ জুন) বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নিজ বাড়ীর পাসেই এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর গুরুত্ব আহত অবস্থায় গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে । চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাতেই তার মৃত্যু হয়। মাসুম শেখ নিহত মিলু শেখের চাচাত ভাই ঠান্ডা শেখের ছেলে । চারদিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারণে থানায় কোন মামলা দায়ের হয়নি।
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার নড়াগাতী থানার ডুমুরীয়া পশ্চিমপাড়া গ্রামে মঙ্গলবার (২০জুন) বিকেলে সরেজমিনে গেলে নিহতের স্বজনরা জানান, ডুমুরিয়া গ্রামের মাসুম শেখের একটি বড় ষাড় প্রায়ই নিহতের ছোট ভাই পলাশের গোয়ালে এসে তার গরুগুলোকে উত্তক্ত করতো। ঘটনার দিনও একই অবস্থার শিকার হলে পলাশ মাসুমকে ডেকে গরু নিয়ে যেতে বললে দু’জনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় অসুস্থ মিলু শেখ ঠেকাতে গেলে মাসুমের হাতে থাকা সাইজকাঠ দিয়ে তাকে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। তখন তাকে উদ্ধার করে গোপালগঞ্জ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত সাড়ে ৩টার দিকে তার মৃত্যু হয়। পরে গোপালগঞ্জ সদর থানা পুলিশ লাশের ময়না তদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে। হত্যাকন্ডে অভিযুক্ত মাসুম শেখের বিচার দাবী করেছেন নিহতের ছেলে ইয়াসিন,তার ছোট বোন নীলা খানম ও তাদের অসুস্থ মা।
এদিকে অভিযুক্ত মাসুম শেখের বাড়ীতে গেলে তালাবদ্ধ পাওয়া যায়। কিন্তু উঠানে মাসুমের ফুফু রাজিয়া বেগমের নিকট অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে বুকে আঘাত করার বিষয়টি তিনি শোনেননি তবে গরু ছুটে পলাশের গাভীর কাছে যাওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়েছে বলে শুনেছেন।
এ প্রসঙ্গে প্রতিবেশী হুসাইন বলেন,‘চেচামেচি শুনে ওই বাড়ীতে এসে শুনি গরু নিয়ে হাতাহাতি হয়েছে। মিলু শেখ বুকে আঘাত পেয়েছে বলে ব্যাথায় ছটফট করছে। তারপর গোপালগঞ্জ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাতে তিনি মারা গেছে।’
এ বিষয়ে উপজেলার নড়াগাতী থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন,‘খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে জানতে পারি ধাক্কাধাক্কি লেগে মিলু শেখ পড়ে গিয়ে আহত হন। পরে গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু ঘটে। জনশ্রুতি আছে নিহত মিলু শেখ হার্টের রুগী ছিলেন। এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’