নড়াইল অফিস :
নড়াইলের কালিয়ায় বুধবার সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাসুদ রানা নিহতের ঘটনায় ৩৬জনকে আসামী করে গতকাল বৃহস্পতিবার কালিয়া থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ওই ঘটনায় পুলিশ বন্দুকের তাজা গুলিসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত কাজল মোল্যার লাইসেন্সকৃত বন্দুক ও গুলির খোষা উদ্ধার করেছে। ঘাতক কাজল মোল্যাসহ ৯জনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ময়না তদন্ত শেষে বুধবার রাতে নিহতের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।
পুলিশ ও মামলার বিবরণে জানা যায়, কালিয়া উপজেলার পুরুলিয়া ইউনিয়নের দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবাহিত নবগঙ্গা নদীর বিভিন্ন স্থানে জেগে উঠা বালুর চর থেকে অবৈধ বালু উত্তেলনকে কেন্দ্র করে একই গ্রামের মকবুল মোল্যার ছেলে কাজল মোল্যা ও হারুন শেখের ছেলে আমিনুর শেখের মধ্যে শত্রæতার সৃষ্টি হয়। তারই জের ধরে বুধবার সকালে দিকে কাজল মোল্যার নেতৃত্বে সশস্ত্র আসামীরা হামলা করে। সন্ত্রাসীদের গুলিতে মাসুদ রানা নিহত হন। এ হত্যার ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের ভাই মামুন শেখ বাদী হয়ে ঘাতক কাজল মোল্যা,তার ভাই টনি মোল্যা ও সোহান মোল্যাসহ ৩৬জনকে আসামী করে কালিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।
সহকারি পুলিশ সুপার রিপন চন্দ্র সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,‘মামলার প্রধান আসামীসহ ৯জন গ্রেফতার হয়েছে। অপরদিকে ঘাতক কাজল মোল্যার লইসেন্সকৃত দো-নালা একটি বন্দুক, ৮ রাউন্ড তাজা বন্দুকের গুলি ও ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা ৩রাউন্ড বন্দুকের গুলির খোষা উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার অন্য আসামীদের গ্রেফতানে পুলিশি অভিযান অব্যহত রয়েছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, নড়াইলের কালিয়ায় নবগঙ্গা নদী থেকে অবৈধ বালু উত্তোলনে বাঁধা দেয়ার অপরাধে মাসুদ রানা (৩৫) নামে এক জন নিহত হয়েছে। ওই ঘটনায় নারী ও শিশুসহ ৯জন গুলিবিদ্ধ সর্বমোট ১৫জন আহত হয়েছে। বুধবার সকাল সাড়ে ৮টায় উপজেলার দেওয়াডাঙ্গা গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে । এ ঘটনায় সন্ত্রাসী কাজল মোল্যাসহ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে পুলিশ ৬জনকে আটক করে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ শর্টগানের ৩রাউন্ড ফাঁকা গুলি বর্ষণ করে। নিহত মাসুদ রানা দেওয়াডাঙ্গা গ্রামের আলী আকবর শেখের ছেলে ও ইসলামী ব্যাংক ফরিদপুর শাখার একজন নিরাপত্তা কর্মী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ঈদের ছুটিতে সে বাড়িতে অবস্থান করছিলেন।