হোম অন্যান্যসারাদেশ কালিগঞ্জ যৌতুকের কারণে গৃহবধু হত্যার ঘটনায় শ্বশুর ও শ্বাশুড়ীকে আটক করেছে থানা পুলিশ

কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে সোনিয়া খাতুন (২২) নামে এক গৃহবধুকে যৌতুকের কারণে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার ধলবাড়িয়া ইউনিয়নের গণেশপুর গ্রামের জামাত আলী গাজীর মেয়ে ও পার্শ্ববর্তী শেরকাটি গ্রামের আনারুল ইসলাম মোল্লার (২৬) স্ত্রী। ঘটনার পর থেকে নিহতের স্বামী আনারুল ইসলাম মোল্লা পলাতক থাকলেও কালিগঞ্জ থানা পুলিশ শ্বশুর আশারাফ হোসেন মোল্লা (৫৫) ও শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগমকে (৪৫) আটক করেছে।

নিহত গৃহবধুর পিতা জামাত আলী জানান, প্রায় ৫ বছর পূর্বে শেরকাটি গ্রামের আশারাফ মোল্লার পুত্র রাজমিস্ত্রী আনারুল মোল্লার সাথে তার মেয়ে সোনিয়া খাতুনের বিয়ে হয়। তাদের সংসারে আড়াই বছর বয়সের একটি ছেলে রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই জামাই আনারুলসহ শ্বশুর ও শ্বাশুড়ি যৌতুকের কারণে তার মেয়ের উপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চালাতো। প্রায় ৩ মাস মাস আগে মেয়ে সোনিয়াকে নির্যাতন করে জামাতা আনারুল ও শ্বশুর শ্বাশুড়ি। নির্যাতন সইতে না পেরে সোনিয়া শ্বশুরবাড়ি থেকে তার বাড়িতে চলে আসে।

কিছুদিন পর জামাতা আপোষ মিমাংসার মাধ্যমে মেয়েকে আবারও নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার (২২ জুলাই) সকালে মেয়ে সোনিয়াকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করেছে বলে জানান তিনি। খবর পেয়ে কালিগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক শিহাবুল ইসলামসহ সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স ঘটনাস্থলে যেয়ে লাশের সুরতহাল শেষে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শুক্রবার(২৩ জুলাই) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। নিহত গৃহবধুর শ্বশুর আশারাফ হোসেন মোল্লা ও শ্বাশুড়ি মমতাজ বেগমকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়। গতরাতে গৃহবধুর পিতা বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন