কালিগঞ্জ (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি:
কালিগঞ্জ উপজেলায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের আসন্ন শারদীয় দুর্গোৎসব ২০২৩ পালনের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় কর্মসূচি প্রণয়নের জন্য প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার (৯ অক্টোবর) বেলা ১১টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাহিমা সুলতানা বুশরা’র পরিচালনায় ও সভাপতিত্বে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এ প্রস্তুতি সভায় পাঁচ দিনব্যাপী (২০-২৪ অক্টোবর পর্যন্ত) শারদীয় দুর্গোৎসব পালনকে কেন্দ্র করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণসহ বহুবিধ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে মহালয়ায় নিরাপত্তা জোরদারসহ পুরো দুর্গাপূজায় সার্বিক নিরাপত্তা ব্যবস্থাপনা জোরদার করা। এখন থেকেই প্রতীমা তৈরির স্থানসমূহে নিরাপত্তা প্রদান করা। ২০ থেকে ২৪ অক্টোবর পর্যন্ত মূলপর্বে এবং পূজা বিসর্জন পরবর্তী নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। প্রতীমা বিসর্জনের সর্বোচ্চ সময় দশমীর দিন বিকাল ৫ টা পর্যন্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে।
এ বছর কালিগঞ্জ উপজেলায় ১২টি ইউনিয়নে ৫১টি পূজা মন্ডমে দুর্গাপূজার উৎসব অনুষ্ঠিত হবে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সার্বিক তত্ত্বাবধানে সার্বক্ষণিক মনিটরিং টিম থাকবে। প্রত্যেক ইউনিয়নে একজন করে ট্যাগ অফিসার নিযুক্ত থাকবে। পূজা মন্ডপে সিসি ক্যামেরা নিশ্চিত করার সিদ্ধান্তও গৃহীত হয়। থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমান এর তত্বাবধানে একটি গ্রুপের মাধ্যমে যোগাযোগ ও সার্বিক পরিস্থিতি নজরদারীর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি পূজামন্ডপে নিরাপত্তার জন্য পুলিশবাহিনীর সদস্য- উপ পরিদর্শক এবং সহকারী উপ পরিদর্শকের সমন্বয়ে টহল টিম থাকবে।
এছাড়া উৎসবটি শান্তিপূর্ণ ভাবে পালন উপলক্ষ্যে প্রতিটি পূজামন্ডপে সার্বক্ষণিক আনসার সদস্য মোতায়েনসহ বিদ্যুতের সর্বোচ্চ সরবরাহ নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিদ্যুতের বিকল্প হিসেবে জেনারেটর রাখার পরামর্শ আলোচনায় উঠে আসে। এবছরে প্রতিমা বির্সজনের পাঁচ দিন পূর্ব হতে বিসর্জনের দিন পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর টহল থাকবে, সাথে সাথে স্টেয়ারিং ফোর্স থাকবে এবং অভিযোগের ভিত্তিতে ফোর্স যথা জায়গায় পৌঁছে যাবে।
প্রস্তুতিমূলক সভায় সভাপতির বক্তৃতায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, যে সিদ্ধান্ত বা মতামত গুলো উঠে এসেছে তা যদি আমরা বাস্তবায়ন করতে পারি তাহলে চমৎকার একটি উৎসব করা সম্ভব।অপতৎপরতা রোধ করতে আমাদের সজাগ থাকতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় গুজব সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে। সেটা যাচাই-বাছাই করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ বা ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। আমরা সবাই যদি সজাগ থাকি তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই।
সভায় উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সাঈদ মেহেদী, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ আজাহার আলী, থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ মামুন রহমান, উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক শনত কুমার গাইন, সাধারণ সম্পাদক মিলন কুমার ঘোষসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, ইউপি চেয়ারম্যান, সাংবাদিক, পূজা উদযাপন কমিটির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।