নিজস্ব প্রতিনিধি :
কালিগঞ্জে জমি জমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে দুইজনকে পিটিয়ে জখম এবং নারী নির্যাতন কারীদের দৃষ্টান্ত বিরুদ্ধে শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন কালিগঞ্জের রাজাপুর গ্রামের মৃত. বাছতুল্যা মোড়লের পুত্র আশরাফ হোসেন। লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, জমি জমা নিয়ে মৃত তালেব মোড়লের পুত্র আবু বক্কর মোড়লের সাথে দির্ঘদিন বিরোধ চলে আসছিল।
এর জের ধরে গত ২৫ এপ্রিল‘২১ তারিখে আমার ভাই মোশাররফ ও বোন রাফেজা খাতুন বাড়ি আসার পথে আবু বক্কর মোড়লের নেতৃত্বে তার পুত্র জাহিদুল ইসলাম, তার স্ত্রী জাহানারা খাতুন জানু, জাহিদুল ইসলামের স্ত্রী নার্গিসসহ ৫/৬ জনের একটি সংঘবদ্ধ বাহিনী তাদের গতি রোধ করে এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে মোশারফের মাথায় কোপ মেরে মারাত্মক জখম করে। তাকে রক্ষায় আমার বোন রাফেজা খাতুন এগিয়ে গেলে তার পরনের কাপড় চোপড় টেনে হিচড়ে শ্লীলতাহানি ঘটনায়। পরে আমার ছোট ভাই তাদের উদ্ধার করতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও পিটিয়ে মারাত্মক জখম করে।
সে সময় তাদের ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। হামলাকারীরা চলে যাওয়ার সময় বিভিন্ন হুমকি দিয়ে যায়। এঘটনায় আমি বাদী হয়ে পর দিন কালিগঞ্জ থানায় একটি এজাহার জমা দিলে তদন্তের জন্য থানার এস আই তরিকুল ইসলাম ঘটনাস্থলে গেলে তার সামনেই আবু বক্কর মোড়লগং আমাদের খুন জখমসহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদর্শণ করে বলেন, যদি এজাহারা তুলে না নিস তাহলে ফল ভালো হবে না, তোর সন্তানসহ পরিবারের সদস্যর খুন জখম করা মর্মে হুমকি প্রদর্শন করে।
পুলিশ চলে যাওয়ার পর ২৮ এপ্রিল‘২১তারিখে প্রকাশ্যে বন্দুক নিয়ে আমাদের বাড়িতে প্রবেশ করে বলে, এজাহার তুলে নিবি, আর দ্রুত তোর ভাইকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে আসবি। আমরা জীবনের ভয়ে তাকে বাড়ি নিয়ে আসি। সে সময় তারা বিষয়টি থানা পুলিশকে না জানানোর জন্য হুমকি দিয়ে চলে যায়। ঘটনার এতদিন অতিবাহিত হয়ে গেল এবং মূর্মুহু হুমকি প্রদর্শন করে যাচ্ছে আবু বক্কর গং অথচ আমার আবেদনটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়নি।
বর্তমানে আমার পুরো পরিবার তাদের ভয়ে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছি। তার আবেদনটি পূনরায় এজাহার হিসেবে গণ্য করে উল্লেখিত ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তিনি।