নিজস্ব প্রতিনিধিঃ
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার পল্লীতে এক গৃহবধূর ধর্ষনের ব্যর্থ হয়ে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক সন্ত্রাসীর বিরুদ্ধে। এই ঘটনার প্রতিকার চেয়ে কালিগজ্ঞ থানায় মামলা করলেও আসামী পক্ষের হুমকিতে দিশেহারা হয়ে পড়েছে ওই পরিবারটি। নির্যাতিতা ওই গৃহবধুর নাম মৌসুমি খাতুন। সে কালিগজ্ঞ উপজেলার লক্ষীনাথপুর গ্রামের গোলাম রসুলের স্ত্রী।গত ১৮মার্চ নিজ বাড়িতে ঘটনাটি ঘটে। অভিযুক্ত যুবক উভাকূড় এলাকার মৃত ভবোনাথ মন্ডলের ছেলে গৌরপদ মন্ডল।
নির্যাতিতা ওই গৃহবধুর স্বামী গোলাম রসুল জানান, বছর ছয়েক আগে তিনি লক্ষী নাথপুর গ্রামে জমি কিনে বাড়ি তৈরি তার পরিবার নিয়ে সেখানে বসবাস করছিলেন। বর্তমানে তাদের ঘরে ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে ও ২বছর বয়সী এক ছেলে আছে। পরিবারের ভরনপেশনের জন্য বছরের কয়েক মাস জেলার বাইরে তাকে ইটভাটা শ্রমিকের কাজ করতে যেতে হয় ।
ওই সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতিবেশী গৌর মন্ডলের চোখ পড়ে স্ত্রী ও তার ক্রয়কৃত সম্পত্তির দিকে। প্রায় রাতে গৌর মন্ডল ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা মাদক সেবন করে বাড়ি ছাড়ার জন্য হুমকি দিয়ে আসছিল । এতে প্রতিবাদ করায় তার স্ত্রীকে কুপ্রস্তাব দিত তারা। বিষয়টি ওই সময়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের জানিয়ে কোন লাভ হয়নি বলে অভিযোগ তার। এরপর চলতি বছরের ১৮মার্চ তিনি বাড়ির বাইরে থাকলে রাতে গৌর মন্ডল তার স্ত্রীর রুমে প্রবেশ করে তাকে ধর্ষনের চেষ্টা চালাতে থাকে।এতে ব্যার্থ হয়ে ধারালো অস্ত্রদিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে । এক পর্যায়ে স্ত্রীর ডাক চিৎকারে এলাকাবাসী ছুটে এলে সেখান থেকে সটকে পড়ে গৌর মন্ডল। পরে তারা তাকে উদ্ধার করে স্ত্রী মৌসুমিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠায়।
তিনি আরো জানান, দীর্ঘদিন সাতক্ষীরা মেডিকেল থাকার পরে তার স্ত্রী বাদী হয়ে কালিগজ্ঞ থানায় একটি মামলা করেন।মামলার কিছুদিন পরে গৌরপদ মন্ডলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। সম্প্রতি সময়ে গৌরপদ মন্ডলের শ্যালক বিজন মন্ডল ও স্ত্রী অজ্ঞলী রানী মামলা তুলে নেওয়ার জন্য বার বার হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে তিনি সহ তার পরিবার চরম নিরাপর্তাহীনতায় ভুগছে।
এবিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্তকর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, ইতিমধ্যে মামলার প্রধান আসামী গৌরমন্ডলকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।এ ঘটনায় বাদী পক্ষকে কেউ কেন প্রকার হুমকি প্রদান করলে তার ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।