নিজস্ব প্রতিনিধি:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মিলন হোসেনের বিরুদ্ধে অন্যায়ভাবে হয়রানী করার জন্য অন্যের বিবাহিত স্ত্রীকে ব্লাক মেইল করে নিজের স্ত্রী হিসাবে ভোগ করার চেষ্টা এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দুপুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের আব্দুল মোতালেব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে কালিগঞ্জের দক্ষিন শ্রীপুর গ্রামের নুরুল হক শেখের মেয়ে নিলুফা খাতুন (২৬) এই অভিযোগ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, কালিগঞ্জের গণপতি গ্রামের শেখ আনিছুর রহমানের ছেলে মোঃ আব্দুস সালামরে সঙ্গে ৭/৮ বছর পূর্বে তার বিয়ে হয়। পরে তাদের ওয়ারেশ একটি কন্যা সন্তান জন্ম হয়। আমি স্বামী সন্তান নিয়ে খুবই সুখ শান্তিত ঘর সংসার করে আসিতেছিলাম। কিন্তু দক্ষিণ শ্রীপুর গ্রামের মৃত গফুর গাজীর ছেলে মোঃ মিলন হোসেন (সাবেক ইউপি সদস্য) বিভিন্নভাবে ভয়ভিতি দেখিয়ে ও মোবাইলে কথা বলায় আমার সংসারে অশান্তি শুরু হয়। একপর্যায় স্বামীর সঙ্গে বনিবনা না হওয়ার সংসার ত্যাগ করে আমি আমার স্বামীকে ডিভোর্স দেই। পরবর্তীতে মিলন হোসেন ব্লাক মেইল করে ভুয়া কাগজ তৈরী করে বিয়ে করেছে বলে আমার সঙ্গে বিভিন্ন সময় খারাপ আচরণ করতে শুরু করে। আমার পিতা এবং আমাকে হয়রানি করবে বলে বিয়ে করেছে মর্মে কোর্টে আমার পিতার নামে মামলা করে। বিয়ে হয়নি তার প্রত্যয়নপত্র আমরা কোর্ট ও রেজিস্ট্রারের কাছ থেকে সংগ্রহ করি।
নিলুফা খাতুন আরো বলেন, সন্তানের ভবিষ্যতের জন্য আমার পূর্বের স্বামী আব্দুস সালাম আমাকে আবারও বিয়ে করে নতুনভাবে ঘর সংসার করার জন্য প্রস্তাব দেয়। আমি তার প্রস্তাবে রাজিও হই। কিন্তু নারীলোভী কুখ্যাত মিলন হোসেন আমার জীবনকে একবারে অতিষ্টি করে তুলেছে। আমার জীবন-যৌবন শেষ করার লক্ষে আমাকে বিভিন্ন বিভাবে হয়রানী করে চলেছে। মিলন হোসেন ওই গ্রামের শুধু নয় বিভিন্ন জায়গায় বহু নারীর জীবন নষ্ট ও হয়রানী করেছে। তার ভিডিও বিভিন্ন সত্য ঘটনা বহু লোক জানে।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, মিলন হোসেন আমার এলাকাবাসীসহ গণ্যমান্য ব্যাক্তিদের নিয়ে বিষয়টা মিমাংসা করে। কিন্তু তারপরও সে আমাকে হয়রানী করে চলেছে। বিভিন্ন কু-রুচিপূর্ণ ও আপত্তিকর ছবি মোবাইলের মাধ্যমে এডিট করে আমার পূর্বের স্বামীর কাছে পাঠায় এবং এলাকার বিভিন্ন মানুষকে দেখিয়ে আমার ও পরিবারের আত্মসম্মানের ক্ষতি করে সংসার নষ্ট করে চলেছে।
তিনি বলেন, আমি আমার পূর্বের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় ঘরসংসার করতে চাই। সেহেতু উক্ত মিলন হোসেনের হাত থেকে আমি যাতে রক্ষা পেতে পারি এবং সে যেন আমার কোন ক্ষতি করতে না পারে তার প্রয়োজনী ব্যবস্থ গ্রহণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জরুরী হস্তক্ষেপ কমনা করছি।