অনলাইন ডেস্ক:
কারাগারে বই পড়ে সময় কাটাচ্ছেন সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক। তার আইনজীবীদের কাছে আইনবিষয়ক বইসহ পাঁচটি বই চেয়েছেন পলক।
সোমবার (২৬ মে) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতের কাঠগড়ায় নিজের আইনজীবীদের এসব কথা জানান পলক।
সকাল সাড়ে ১০টার পর পলককে আদালতের এজলাসে তোলা হয়। তার সামনে দুজন আইনজীবী দাঁড়িয়েছিলেন। একজন তরিকুল ইসলাম, অন্যজন ফারজানা ইয়াসমিন।
পলক ফারজানা ইয়াসমিনকে ডেকে বলেন, ‘আমাকে কারাগারে কয়েকটি বই পৌঁছে দেবে।’ তখন ফারজানা পলককে বলেন, ‘কী কী বই আপনাকে দিতে হবে।’ পলক ফৌজদারি কার্যবিধি (সিআরপিসি), দেওয়ানি কার্যবিধি (সিপিসি), দণ্ডবিধি, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে উন্নয়নের দর্শন এবং জাতীয় সংসদে জুনাইদ আহ্মেদ পলক—এই পাঁচ বই চান।
পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন জানান, জুনাইদ আহ্মেদ পলক এখন আইনের বই পড়ছেন। তিনি পেশায় আইনজীবী। সংসদ সদস্য হওয়ার আগে তিনি উচ্চ আদালত এবং জজ কোর্টে প্র্যাকটিস করতেন। সংসদ সদস্য হওয়ার পর থেকেই তাঁর আইনচর্চা কমে যায়। কারাগারে যাওয়ার পর তিনি আবার আইনের বই পড়া শুরু করেছেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারের জ্যেষ্ঠ কারা তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, সরকারঘোষিত নিষিদ্ধ বই ছাড়া যেকোনো ধরনের বই কারাবন্দীরা কারাগারে নিয়ে আসতে পারেন। তবে সরবরাহের আগে কারা কর্তৃপক্ষ সেসব বই পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন। সবকিছু যাচাইয়ের পর বইগুলো সংশ্লিষ্ট কারাবন্দীর কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রায় ৯ মাস কারাগারে রয়েছেন পলক। যখনই তিনি আদালতে এসেছেন গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তবে আজ ছিল ব্যতিক্রম। আজ তিনি গণমাধ্যমকর্মীদের কোনো প্রশ্নের উত্তর দেননি।