হোম অন্যান্যসারাদেশ কাঞ্চন পঞ্চায়েতকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় চরফ্যাসনের জাহানপুরবাসী
চরফ্যাসন (ভোলা) প্রতিনিধি:
চরফ্যাসন উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান হিসেবে মো.আবদুল গফুর কাঞ্চন পঞ্চায়েতকে চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশায় নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জাহানপুর ইউনিয়নের পিছিয়ে পড়া এলাকাবাসীর মাঝে ভোলা-৪ (চরফ্যাশন ও মনপুরা) আসনের সংসদ সদস্য, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এর উন্নয়নকে আরও প্রসারিত করতে এবং অনগ্রসর জনগনকে জাতীয় উন্নয়নের অংশীদার করতেই চেয়ারম্যান পদে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন বলে জানান আবদুল গফুর কাঞ্চন পঞ্চায়েত।
নিজের আদর্শ ,মেধা ও দূরদর্শী গুণাবলি দিয়ে জাহানপুর ইউনিয়নের উন্নয়নকে আরও প্রসারিত করতে চান এ প্রার্থী। তিনি ১৯৮২সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির মাধ্যমে নিজের রাজনৈতিক পরিচয় তুলে ধরেন এলাকাবাসীর কাছে।
কাঞ্চন পঞ্চায়েত বৃহত্তর হাজারীগঞ্জন ইউনিয়নে ১৯৯১ সাল থেকে ৯৪ সাল পর্যন্ত আওয়ামী যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালনের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেন। এছাড়াও তিনি ১৯৯৬ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত প্রস্তাবিত জাহানপুর ইউনিয়নে যুবলীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০০১ সাল পরবর্তী  বিরোধী রাজনৈতিক দলের ক্যাডার বাহিনী পঞ্চায়েত বাড়ীতে হামলা করে লুটপাট ও তান্ডব চালায় বলে জানান আওয়ামী লীগের ত্যাগী এ নেতা। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রের স্বীকার হয়ে একাধিক মামলা ও হামলার শিকার  হয়ে দীর্ঘসময় কারাবরণ করেছি।
এ প্রার্থী আরও বলেন, ২০০১ সালের ৬ অক্টোবর আমার ছোট ভাই আলী আজগরকে জাহানপুরের জলিল বেপারীরহাট বাজারে বিরোধী রাজনৈতিক দলের সন্ত্রাসী দল মারধর ও রক্তাক্ত জখম করে গুরুতর আহত করলে দীর্ঘদিন অসুস্থ থেকে মৃত্যুবরন করে।
৯নভেম্বর ওই বাজারে সন্ত্রাসীরা আমাকে হত্যা চেষ্টায় কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এছাড়াও আমার পরিবারের ১২জনকে আসামি করে একাধিক মামলা দিলে ওই মামলায় আমি দীর্ঘদিন কারাবন্দী থাকি। এছাড়াও আমার বাড়ীঘরে হামলা করে গরু  ছাগল, মাছ ও ফসল লুটপাট করে সন্ত্রাসী বাহিনী।
ওয়ান ইলেভেনেও পুলিশ ও নৌ- বাহিনী হাতপা বেঁধে মারধর করে থানায় ও পরে যৌথ বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্প চরফ্যাসন ডাক বাংলোয় নিয়ে ২দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাকে জেলে পাঠানো হয়।
এ প্রার্থী জানান ১৯৯৩ সালের উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থীর পক্ষে নির্বাচনে করতে গেলে আমাকে প্রতিপক্ষ দল কর্তৃক হামলা মামলা দিয়ে জেলে পাঠানো হয়। এছাড়াও তিনি  ৯১,৯৩,৯৬,২০০১,২০০৮,২০১৪ এবং ২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চরফ্যাসন ও মনপুরা আসনের তৎকালীন সংসদ সদস্য প্রার্থী’সহ আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি’র পক্ষে নৌকা প্রতীকে নির্বাচন পরিচালনায় অগ্রণী ভূমিকা  পালন করেন বলে এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। বর্তমানে তিনি  ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
এছাড়াও সাবেক সাংসদ মরহুম অধ্যক্ষ মিয়া মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এর উপজেলা নির্বাচনেও এই অঞ্চলের দায়িত্ব পালন করেন এ প্রার্থী।
কাঞ্চন পঞ্চায়েতের পিতা মৃত মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক পঞ্চায়েত বৃহত্তর হাজারীগঞ্জ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে সহ-সভাপতি থেকে আওয়ামী লীগের  বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি ওই অঞ্চলের একজন সমাজ সেবক, নিবেদিত প্রাণ ও সর্বজনীন শ্রদ্ধার পাত্র বলেও জানা যায়।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক আদর্শে আদর্শিত হয়ে ইউনিয়নের জনসাধারণের সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ত্যাগী কর্মী হিসেবে আসন্ন জাহানপুর ইউপি নির্বাচনে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেন এ প্রার্থী।
তিনি আরও বলেন, আমার ত্যাগের কথা চিন্তা করে দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেন এবং এলাকাবাসীর চাওয়া পাওয়ায় যদি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই, তাহলে এলাকার স্থানীয় জনসাধারণের মাঝে ঘুষ মুক্ত ন্যায় সালিস বিচার প্রতিষ্ঠা, ইউনিয়নকে উপজেলার সর্বোচ্চ মডেল ইউনিয়নে পরিনত করা, স্থানীয় মাদ্রাসা মসজিদের উন্নয়ন, প্রত্যেক পাড়া মহল্লার মসজিদ ভিত্তিক মক্তব চালু করা, এলাকার কৃষি ও চাষাবাদে জমির জলাবদ্ধতা নিরসনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, স্থানীয় বেকারদের কর্মসংস্থানের জন্য সঠিক কর্মপরিকল্পনাসহ স্থানীয় ছিন্নমূল শিশু কিশোর কিশোরীদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার সুযোগ তৈরী করাসহ হত দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা এবং বাংলাদেশ সরকারের সকল সেবা দরিদ্র ও অসহায় জনগোষ্ঠীর কাছে পৌছে দেয়ার প্রতিশ্রুতিও দিচ্ছেন এ প্রার্থী।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আবদুল গফুর কাঞ্চন পঞ্চায়েত দীর্ঘদিন ধরে জাহানপুর ইউনিয়নে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নসহ এলাকাবাসীর সুখে দুঃখে পাশে থেকে সহযোগীতা করে আসছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষের জমিজমাসহ একাধিক সালিশ ফয়সালার মাধ্যমে যুগ যুগ ধরে চলে আসা পারিবারিক কলোহ ও বিরোধ নিষ্পত্তি করেন। তিনি ওই ইউনিয়নের জনসাধারণের হৃদয়ে আস্থা অর্জন করে নিয়েছেন বলেও জানান,  জাহানপুর ইউনিয়নের নারী পুরুষসহ কিশোর,যুবক ও প্রবীণ ব্যক্তিরা।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর  রাজনৈতিক আদর্শে আদর্শিত আওয়ামী লীগের ত্যাগী এ নেতা ওই এলাকায় আসন্ন ইউপি নির্বাচনী মাঠে নিজের শক্ত অবস্থান তৈরী করে নিয়েছেন বলেও জানান নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ একাধিক এলাকাবাসী।
ধর্ম বর্ন ও দলমত নির্বিশেষে জাহানপুর ইউনিয়নবাসী তাকেই আসন্ন ইউপি নির্বাচনে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দেখতে চান বলেও প্রত্যাশা করছেন এ প্রার্থী।
s

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন