হোম অন্যান্যসারাদেশ কাজ পেতে দফায় দফায় দিতে হয় টাকা, সরকারকে ফাঁকি দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন অর্থ, অভিযোগের শেষ নেই দেবহাটার কুলিয়া ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে!

দেবহাটা প্রতিনিধি :

দেবহাটার কুলিয়া ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগের শেষ নেই। সরকারি ফি ছাড়া অতিরিক্ত অর্থ গ্রহন, চাহিদা মত টাকা না পেয়ে তালবাহানা সহ নানা অভিযোগ রয়েছে।

গত ২১ ডিসেম্বর কুলিয়া ইউনিয়নের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ভরত চন্দ্র মন্ডলের একটি লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, কুলিয়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা শেখ আব্দুস সোবহানের নিকট জমির খাজনা দিতে যান ঐ শিক্ষক। কিন্তু ৫১১০ ও ৫১৩২ দাগের খাজনা না নিয়ে দিনের পর দিন তালবাহানা করছেন। তিনি একাধীক বার ভূমি অফিসে গেলেও তার খাজনার টাকা গ্রহন করছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। ঐ ৫১১০ দাগে ৪৯ টি এস.এ খতিয়ানে ১৬৩.৮০ একর জমির মধ্যে ৬৩. এস.এ খতিয়ানে ৪.২৪ একর এবং ৬৬নং এস.এ খতিয়ানে ৪.০০ জমি “ক” তালিকা ভূক্ত। এছাড়া ৫১.৩২ দাগে ২৩ টি এস.এ খতিয়ানে ৬৫.০০ একর জমির মধ্যে ১৯৭ নং এস.এ খতিয়ানটি “ক” তালিকা ভূক্ত থাকায় উক্ত দুটি দাগের কোন খাজনা নিচ্ছেনা ঐ কর্মকর্তা।

এছাড়া ২৩ ডিসেম্বর কুলিয়ার আমিনুর রহমান কর্তৃক আরো একটি লিখিত অভিযোগে জানা যায়, ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তার সীমাহীন দুর্নীতি চালিয়ে যাচ্ছেন। যা সরকারি স্বার্থ বিরোধী। সরকারি ভিপি “ক” তালিকায় জমি দাখিলা কাটা পূর্বের তথ্য ছাড়া নবায়ন করছেন। এতে সরকার রাজস্ব হারাচ্ছে। নামত্র রাজস্ব দেখিয়ে দাখিলা কাটা, ভূয়া ডিগ্রির মাধ্যমে রেকার্ডকৃত জমির দাখিলা কেটে অবৈধ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন।

তাছাড়া টাকার বিনিময়ে তার পোষ্য দালালের মাধ্যমে অফিস টাইম ও সরকারি ছুটির দিনে হর-হামেশায় কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। রামনগর মৌজায় নতুন খতিয়ান নাং- ৩৮৫.৪১.৪০০ জমির পরিমান আনুমানিক ৩২ একর যা সরকারি ভিপি “ক” তালিকা ভূক্ত। বালিথা মৌজায় নতুন খতিয়ান ৪৯৮ জমির পরিমান প্রায় ২এক পুরতন রাজস্ব ফাঁকি দিয়ে নামাত্র সরকারি অর্থ আদায় করেছেন।

এছাড়া বহেরা মৌজায় নতুন ৪৯১.৭৮৫.৫৪৪.৫১৫.৪৮৩.২৩২৪.১৪৩০ নাম্বার খতিয়ানে প্রায় ২০ একর জমির পূর্ব তথ্য ছাড়ায় নতুন খাজনা আদায় দেখিয়েছেন। জগন্নাথপুর মৌজায় ৪৪০ নং খতিয়ানে ৩ তলা পোল্ট্রি ফাম থাকলেও তা কৃষি শ্রেণিতে খাজনা আদায় করছে।

অপরদিকে ৪৫৭ খতিয়ানে পূর্ব তথ্যা ছাড়া ৫৮২ নং খতিয়ানে সরকারি ভিপি “ক” তালিকা ভূক্ত থাকায় সম্পত্তি থেকে অবৈধ অর্থ আত্মসাৎ করে চলেছেন। নামপত্তন রিপোর্ট দিতে হলে যোগাতে হয় মোটা অংকের টাকা। কম দিলে কেস খারিজ করার হুমকিও দেন শেখ আব্দুস সোবহান।

অভিযোগে আরো আরো উল্লেখ কার হয়েছে, ঐ কর্মকর্তা সরকারকে ফাঁকি দিয়ে নিজের পকেট ভারী করছেন। তার এ কাজে সহযোগী হিসাবে রয়েছে অনেক প্রতারক। আর এতে দিনের পর দিন হয়রানির শিকার হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। এ পরিস্থির উত্তরন চেয়ে নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট লিখিত অভিযোগ করেছেন ভূক্তভোগীরা।

 

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন