দীপক শেঠ,কলারোয়া (সাতক্ষীরা) :
কলারোয়া পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগের তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, সোমবার (১৫ মার্চ) সকাল ৯ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মোতাবেক ৩ সদস্য বিশিষ্ট পরিচালিত তদন্ত কমিটিতে রয়েছেন সাইদুন নবী চৌধুরী, যুগ্ম সচিব, ঢাকা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা; আব্দুল হালিম, উপ-সচিব, নির্বাচন কমিশন কার্যালয় ও বিপ্লব দেবনাথ, সিনিয়র সহকারী সচিব ও সদস্য সচিব তদন্ত কমিটি, নির্বাচন কমিশন কার্যালয়।
গত ১১ মার্চ নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব বিপ্লব দেবনাথ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এই তথ্য জানা গেছে। যার স্মারক নং১৭.০০.৮৭০০.০৩৫.৪৬.০৫৬.২০-৩৫১। সোমবার(১৫ মার্চ) সকাল ৯টা থেকে তদন্ত কার্যক্রম পরিচালিত হয়।
পরিচালিত কার্যক্রমে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালনকারী রির্টানিং অফিসার, সহকারী রির্টানিং অফিসার. থানার অফিসার ইনচার্জ , কেন্দ্রের পুলিশ ইনচার্জ, প্রিজাইডিং অফিসার, প্রতিটি কেন্দ্রে একজন করে সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারসহ আবেদনকারীদের শুনানী ও বক্তব্য গ্রহণ করা হয় বলে জানা যায় ।
এ দিকে তদন্তের অংশ হিসাবে আগামী ১৬মার্চ সকাল সাড়ে ৯টায় সাতক্ষীরা জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটগণের শুনানী গ্রহন করা হবে বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারী ৩য় ধাপে অনুষ্ঠিত কলারোয়া পৌরসভার নির্বাচনে স্থানীয় প্রশাসনের উপস্থিতিতে ব্যাপক অনিয়ম, সহিংসতা, এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দেওয়া, তিনটি ব্যালটের মধ্যে মেয়র প্রার্থীর ব্যালট ভোটারকে না দেওয়া, কেন্দ্র দখল করে ব্যালটে সিল মারার ঘটনায় বিএনপি ও এক স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থীসহ একাধিক কাউন্সিলর প্রার্থী নজির বিহীন ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জন করার ঘোষণা দেন।
এ কারণে গত ৬ ফেব্রুয়ারী বেসরকারিভাবে ঘোষিত কলারোয়া সহ তিনটি পৌরসভার ফলাফল স্থগিত ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। অনিয়মের তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হলে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তার প্রতি অনাস্থা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কর্মকর্তাসহ অন্যান্যদের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতাকারী ২৫ প্রার্থী। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে কোন প্রতিকার না পেয়ে উচ্চ আদালতে রিট করেন কাউন্সিলর প্রার্থী এএসএম এনায়েতউল্লাহ খানসহ অন্যান্য প্রার্থীরা।