হোম অন্যান্যসারাদেশ কলারোয়া পৌরসদরে বসবাসরত ব্যাংকার ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ ব্যক্তির করোনা পজিটিভ সনাক্ত; মোট সনাক্ত-১৪, সুস্থ-২

কলারোয়া পৌরসদরে বসবাসরত ব্যাংকার ও পুলিশ কর্মকর্তাসহ ২ ব্যক্তির করোনা পজিটিভ সনাক্ত; মোট সনাক্ত-১৪, সুস্থ-২

কর্তৃক
০ মন্তব্য 126 ভিউজ

দীপক শেঠ,কলারোয়া প্রতিনিধি:

কলারোয়ায় আবারও এক গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তা ও পুলিশের এক এএসআই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এনিয়ে এই পর্যন্ত উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৪ জনে দাঁড়ালো। তবে প্রথম আক্রান্ত ২ জনের দুই দফা রিপোর্টে নেগেটিভ আসায় সুস্থতা লাভ করেছেন বলে সূত্র জানায়। জানা গেছে, নতুন আক্রান্ত ব্যাংকার সহিদুল ইসলাম(৫২) উপজেলার কয়লা গ্রামীণ ব্যাংক শাখায় কর্মরত আছেন। তিনি সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার স্থায়ী বাসিন্দা। চাকুরীর সূত্রে তিনি কলারোয়া পৌর সদরের গদখালী গ্রামের (সরকারী কলেজ সংলগ্ন এলাকা) শেখ মারুফ হোসেনের ভাড়া বাড়িতে বসবাস করেন। এ দিকে, একই দিন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হওয়া কলারোয়া থানার এএসআই আসাবুর (২৮) পৌরসদরের গদখালি গ্রামের ভাড়াবাড়িতে পরিবার নিয়ে বসবস করেন। তিনি খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানার স্থায়ী বাসিন্দা। শুক্রবার ১৯ জুন আক্রান্ত ব্যক্তিদ্বয়ের কলারোয়া পৌরসভাধীন ওই ভাড়া বাড়ি দু’টি লকডাউন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আলহাজ শেখ মুনীর-উল-গীয়াস। তিনি আরও জানান, আক্রান্ত এএসআই আসিবুর সাতক্ষীরা পুলিশ লাইনে প্রশিক্ষনে থাকা অবস্থায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়। কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প. কর্মকর্তা ডাঃ জিয়াউর রহমান জানান, আক্রান্ত ব্যাংকার সহিদুল ইসলাম ও পুলিশ কর্মকর্তা আসিবুর কয়েকদিন আগে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাাবে পাঠানো হয়। সেই দুই জনের রিপোর্ট ১৯ জুন শুক্রবার সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ থেকে কলারোয়া হাসপাতালে আসার পর জানতে পারি দু’জনই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি আরও জানান, ইতিমধ্যে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হওয়া ১৪ জনের মধ্যে গত রোববার সুস্থ হয়েছেন প্রথম আক্রান্ত চন্দপুর ইউনিয়নের দাঁড়কি গ্রামের মাজেদুল ও তাঁর স্ত্রী মিম। এ দিকে ওই ইউনিয়নে আক্রান্ত অপর ৪ জনের ফলোআপ নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট প্রথম দফায় নেগেটিভ এসেছে তবে দ্বিতীয় দফায় রিপোর্ট হাতে এলেই সরকারীভাবে বিষয়টি জানানো হবে। এ দিকে জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামের আক্রান্ত ব্যক্তির প্রথম দফায় নমুনা সংগ্রহ করে ল্যাবে পাঠানো হয়েছে, তবে সে রিপোর্ট এখনও হাসপাতালে আসেনি। উল্লেখ্য, চন্দনপুর ইউনিয়নের দুই জন করোনামুক্ত ঘোষণার পর এখন পর্যন্ত পৌরসদওে ২জন নতুন আক্রান্তসহ উপজেলার ১২ জন ব্যক্তি শনাক্ত থাকলো। এর মধ্যে চন্দনপুর ইউনিয়নে ৪ জন, জালালাবাদ ইউনিয়নে ১জন, লাঙ্গলঝাড়া ইউনিয়নে ১জন, কেঁড়াগাছি ইউনিয়নে ১ জন, দেয়াড়া ইউনিয়নে একজন গ্রামীন ব্যাংকের কর্মকর্তাসহ ৩ জন ও নতুন আক্রান্ত পৌরসদরে ভাড়া বাড়ীতে বসবাসরত ২ জন। ডা: জিয়াউর রহমান আরও জানান, এ পর্যন্ত উপজেলায় মোট ৩৭৭ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়। রিপোর্ট পেয়েছি ৩৩৭ জনের। এর মধ্যে ১২জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট, বাকিগুলো নেগেটিভ। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরিত মোট ১৪ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্টের মধ্যে জালালাবাদ ইউনিয়নের সিংহলাল গ্রামের আক্রান্ত যুবক নারায়ণগঞ্জে ও পৌর সদরের ভাড়া বাড়িতে বসবাসরত নতুন আক্রান্ত ২জন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজে এন্ড হাসাপাতালে নমুনা দিয়েছিলেন বলে জানা যায়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন