দীপক শেঠ,কলারোায়(সাতক্ষীরা) প্রতিনিধিঃ
কলারোয়ার বাউল শিল্পীর কন্যা আসমা আক্তার মিতা অদম্য ইচ্ছাশক্তিকে কাজে লাগিয়ে অসম্ভবকে সম্ভব করে ৪০তম বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে প্রকাশিত ফলাফলে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে সুপারিশপ্রাপ্ত হযেছেন। আসমার বাবা মোতাহার হোসেন মন্ডল ফকিরী মতের একজন আধ্যাত্মিক বাউল সুর সাধক। বাদ্য, বাজনা, সুর-লহরীর তালে কাটে তাঁর এক একটি দিন। দারিদ্রভরা সংসার। কিন্তু তাতে দমে যাননি মেধাবী ছাত্রী আসমা আক্তার মিতা।
ছিলো লেখাপড়া চালিয়ে যাবার ক্ষেত্রে নানা প্রতিকূলতা। সে টিউশনের টাকায় বই কিনে দিনে পড়ালেখা করেছেন ১৬ ঘণ্টা পর্যন্ত। দুর্দান্ত ইচ্ছাশক্তির জোরেই বাউল সুর সাধধের মেয়ে আসমা আক্তার মিতা হয়েছেন বিসিএস ক্যাডার।
হয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট। জানা গেছে, কলারোয়া উপজেলার কেরালকাতা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম কিসমত ইলিশপুরের বাসিন্দা আসমা আক্তার মিতা। অভাবের সংসারের মাঝেও আসমা আক্তার মিতা নিজেকে আলোকিত করেছেন শুধু তাই নয়, ছোট্ট গ্রাম কিসমত ইলিশপুরকেও আলোকিত করেছেন তিনি।
গত ৩০ মার্চ ৪০তম বিসিএসের চূড়ান্ত ফল প্রকাশ করেছে সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) তাতে মিতা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রশাসন ক্যাডার থেকে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন।
আসমা আক্তার মিতা সাংবাদিকদের জানান, তিন ভাই-বোনের মধ্যে তিনি সবার ছোট। একমাত্র ভাই ফয়সাল হোসেন রিকো দশম শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও এসএসসি পরীক্ষা দেননি।
বড় বোন রেশমা আক্তার লতা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগ থেকে ২০১৫ সালে মাস্টার্স শেষ করেন। জানা যায়, আসমা আক্তার মিতা কলারোয়ার কে.কে.ই.পি সম্মিলিত মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে ২০১০ সালে এস.এস.সি পরীক্ষা দেন। এরপর কাজিরহাট ড্রিগ্রি কলেজ থেকে ২০১২ সালে এইচ.এস.সিতে কৃতিত্বের সাথে পাস করে ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তারপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাঁর। তার সাফল্যে পিতা,মাতা সহ শিক্ষাজীবনের সকল শিক্ষক ও শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আসমার গর্বিত বাবা মোতাহার হোসেন তার কন্যার জন্য সবার কাছে দোয়া প্রার্থনা করেছেন।