দীপক শেঠ,কলারোয়া :
কলারোয়ায় পারিবারিক বিরোধকে কেন্দ্র করে প্রতিপক্ষের হামলায় এক গৃহবধূ নিহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে, বুধবার (১৯ আগস্ট) বেলা ২টার দিকে উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের গয়ড়া গ্রামে। নিহত হয়েছেন ওই গ্রামের আনার আলীর স্ত্রী ছকিনা খাতুন (৩৫)। এ ঘটনায় ঘাতক বড় জা, তার স্বামী ও পুত্র কে পুলিশ আটক করেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গয়ড়া গ্রামের বৈদ্য পাড়ার বুড়ো হযরতের দুই পুত্রবধূর মধ্যে পারিবারিক কলহের জের ধরে মেঝ জা মর্জিনা খাতুন সেলিনা (৩৭) কুরালের কোপ দেয় ছোট জা ছকিনা খাতুন (৩৫) কে। এতে ঘটনাস্থলেই ছকিনার মৃত্যু হয়। প্রতিবেশিরা জানান, সেলিনা খাতুনের ছেলে জাহিদ হাসানও (১৪) কুরাল দিয়ে আঘাত করে তার চাচি ছকিনা খাতুনকে।
মারামারির ঘটনায় নিহতের মেয়ে রাজিয়া লাবনী (১৫) ও ঘাতকের মেয়ে সোনিয়া (১৭) আহত হয়। তাদের কলারোয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এদিকে ঘটনা ঘটিয়ে বৃষ্টি মাথায় পালানোর সময় ঘাতক মর্জিনা খাতুন সেলিনা, তার স্বামী ইমানুর রহমান ঝন্টু (৪০) ও ছেলে জাহিদ হাসান পার্শ্ববর্তী বুঝতলা বাজার হতে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা আটক করে চন্দনপুর ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসেন।
বিষটি জানতে পেরে থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মুনীর উল গীয়াস(ওসি) সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ কলারোয়া হাসপাতালে ও আটকদের থানায় নিয়ে আসেন। স্থানীয় ও প্রতিবেশিরা আরো জানান, মারামারির সময় হযরতের দুই ছেলে ইমানুর রহমান ঝন্টু ও নিহত ছকিনার স্বামী আনার আলী (৩৮) কেউ বাড়ীতে ছিলো না। কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলাম জানান, ‘নিহতের ঘাড় ও মাথায় ধারালো ও ভারি কিছুর আঘাতের কারণেই মৃত্যু হয়েছে।
এছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আহত দু’জনকে ভর্তি করা হয়েছে।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস জানান, ‘মর্জিনা খাতুনের কুরালের কোপে তার জা ছকিনা খাতুন হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন। আমরা তাৎক্ষনিক হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে মর্জিনা, তার স্বামী ইমানুর রহমান ও পুত্র জাহিদকে আটক করা হয়েছে। এ ব্যাপারে, থানায় মামলা দায়ের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি জানান। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়।’