দীপক শেঠ,কলারোয়া :
কলারোয়ায় আরো ৩ ব্যক্তি করোনা ভাইরাসে শনাক্ত হয়েছেন । সোমবার (৬ জুলাই) এ রিপোর্ট এসেছে। আর এদিন সরকারিভাবে কলারোয়া হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার শফিকুল ইসলামকে করোনামুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে এ পর্যন্ত ২৬ জনের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসলেও ইতোমধ্যে ১১ জন করোনামুক্ত হয়েছেন। এ নিয়ে বর্তমানে উপজেলায় ১৫ জন করোনা আক্রান্ত থাকলেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কলারোয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচ এন্ড এফপিও) ডাক্তার জিয়াউর রহমান। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিরদের বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মুনীর-উল-গীয়াস।
৬ জুলাই আসা রিপোর্টে নতুন করে শনাক্ত হওয়া ব্যক্তিরা হলেন পৌরসদরের তুলশীডাঙ্গা গ্রামের নজরুল ইসলামের পুত্র আফতাব উদ জামান (৩৬), উপজেলার যুগিখালী ইউনিয়নের যুগিখালী গ্রামের মৃত আনিস উদ্দিন আহমেদের পুত্র গোলাম মোস্তফা (২৯) ও জালালাবাদ ইউনিয়নের হামিদপুরের শংকরপুর গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র খালিদ সাইফুল্লাহ। গত ২৭ জুন তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছিলো।
ইউএইচ এন্ড এফপিও ডাক্তার জিয়াউর রহমান জানান, ‘এদিন পর্যন্ত ৫৫৩ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। ৪৭০ জনের রিপোর্ট এসেছে।’ এদিকে, যশোর, ঢাকা ও খুলনায় অন্য রোগে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কলারোয়ার ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। পরে তাদের করোনা পজিটিভ রিপোর্ট আসে।
গত ২৫ জুন সিনিয়র আ.লীগ নেতা আবুল খায়ের মজুমদার যশোরে, ৩০ জুন কেরালকাতা ইউপি চেয়ারম্যান আ.লীগ নেতা আব্দুল হামিদ সরদার ঢাকায় ও ১ জুলাই হেলাতলা ইউপি চেয়ারম্যানের চাচাতো ভাই আজহারুল ইসলাম খুলনায় মারা যান।
পরে তাদের লাশ কলারোয়ায় দাফন সম্পন্ন করে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘সেবা’। মৃত্যুর আগে আবুল খায়ের মজুমদার বেনাপোলে ও আজহারুল ইসলাম খুলনায় বসবাস করতেন বলে জানা গেছে। উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত নতুন করে আক্রান্ত ৩ জনসহ মোট ১৫ জন করোনা শনাক্ত ব্যক্তি থাকলেন।
পৌরসদরে ৬, উপজেলার দেয়াড়া ইউনিয়নে ১, লাঙ্গলঝাড়ায় ১, কেঁড়াগাছি ১, কয়লা ১, সোনাবাড়িয়া ১, হেলাতলা ১, কুশোডাঙ্গা ১, জালালাবাদে ১ ও যুগিখালী ইউনিয়নে ১জন সহ মোট ১৫ ব্যক্তি করোনা পজিটিভ শনাক্ত থাকলেন।