হোম খুলনাসাতক্ষীরা কলায়োয় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে

কলায়োয় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে ওসির বিরুদ্ধে

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 60 ভিউজ

নিজস্ব প্রতিনিধি:

সাতক্ষীরার কলারোয়ায় তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে বাড়িতে তুলে দিয়ে স্বামীকে বাড়ি ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে কলারোয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলামের বিরুদ্ধে। এঘটনায় প্রতিকার চেয়ে বুধবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন ভুক্তভোগী স্বামী কলারোয়া উপজেলার বলিয়ানপুর গ্রামের আবু সিদ্দিক দফাদারের পুত্র মালেশিয়া প্রবাসী কামরুজ্জামান বাবলু।
লিখিত অভিযোগে তিনি বলেন, ইন্দোনেশিয়া থেকে কাজের সন্ধানে মালেশিয়ায় আসা নারী ইয়ানতি’র সাথে সম্পর্কের জেরে বিগত ২০০৭ সালে আমাদের বিয়ে হয়। এরপর আমাদের একটি কন্যা সন্তানও হয়। কিন্তু তার সাথে আমার বনিবনা না হওয়ায় বিগত ২০২০ সালের ১৫ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রচালিত আইন অনুযায়ী রেজিস্ট্রি তালাক প্রদান করি। তালাকের ১ বছর ১০ মাস ১২ দিন পরে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী ইয়ানতি আমার বিরুদ্ধে ৫০ লক্ষ টাকা যৌতুকের অভিযোগে কলারোয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। (মামলা নং ৬৭৪/২৩)। উক্ত মামলায় আমি ১ মাস ১৫ দিন জেল খাটার পর জামিনে মুক্তি পেয়ে মাহামান্য হাইকোর্টের অনুমতি নিয়ে ২০২৩ সালের ৩০ জুলাই মালেশিয়া চলে যাই। সেখানে প্রায় দুই বছর থাকার পর চলতি বছরের ১৫ জুলাই আমি দেশে ফিরে আসি এবং বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল, সাতক্ষীরাতে হাজির হয়ে জামিন লাভ করি। এরপর কলারোয়ায় নিজ বাড়ীতে অবস্থান করিতে থাকি। আমার বাড়ি আসার খবর পেয়ে তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী আবারো আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু করে এবং কলারোয়া থানায় আমি তাকে মারপিট করে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি মর্মে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। এর প্রেক্ষিতে কলারোয়া থানার ওসি সাইফুল ইসলাম চলতি বছরের গত ২৬ জুলাই আমাকে থানায় ডেকে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এছাড়া আমাকে বলেন, তুই তোর বাড়ীতে থাকতে পারবিনা, ওই মহিলা থাকবে। তুই যদি বাড়ীতে যাস, তোর নামে ধর্ষন মামলা হবে। এরপর ওসি সাইফুল আমার এলাকায় কিছু বখাটে ছেলেদের ম্যানেজ করে গত ৫ বছর আগের তালাক প্রাপ্ত স্ত্রী ইয়ানতিকে আমার বাড়ীতে তুলে দিয়ে আমাকে বাড়ী ছাড়া করে দিয়েছেন। আমি আমার নিজ নামীয় জমি এবং বাড়ী ফেলে আজ পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। তিনি বলেন, ইয়ানতি আমার স্ত্রী থাকাবস্থায় বিগত ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই তারিখে আমাকে মৃত সাজিয়ে এবং নিজেকে বিধবা দেখিয়ে জনৈক রঞ্জু ইসলাম নামের এক যুবকের সাথে রেজিস্ট্রি বিয়েও করেন (যার নিকাহ নামা আমার কাছে রয়েছে)। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ১লা জানুয়ারী রঞ্জুর সাথে তার তালাক হয় সে তালাক নামাও আমার কাছে রয়েছে)।
তিনি এসময় দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, আমি একজন রেমিট্যান্স যোদ্ধা হিসাবে দেশে যেখানে আমার সর্বোচ্চ সম্মান পাওয়ার কথা থাকলেও আইন প্রয়োগকারী সংস্থা পুলিশের একজন দায়িত্বশীল ওসি সাহেবের প্রত্যক্ষ ইন্ধনে আমার সাবেক স্ত্রীর দ্বারা বে-আইনিভাবে নির্যাতনের শিকার হয়ে আমি পথে পথে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সংবাদ সম্মেলন থেকে তিনি এসময় তার তালাক প্রাপ্ত স্ত্রীর দেওয়া মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি এবং নিজের বাড়িতে ফিরতে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ ব্যাপারে কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম জানান, পুলিশ কাউকে কামরুজ্জামান বাবলুর বাড়িতে তুলে দেয়নি। উনি যে অভিযোগ করেছেন এটা সঠিক নয়।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন