খুলনা অফিস :
খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলায় সদ্য আক্রান্ত হওয়া দুইজন করোনা রোগীর জন্য ভালোবাসার উপহার পাঠালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম। শুক্রবার আক্রান্তদের বাড়িতে উপজেলা ত্রাণ শাখার উপসহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাসেল আহমেদে মাধ্যমে এ ভালোবাসার উপহার পাঠিয়ে দেন। এ ধরনের খবরে উপজেলার সাধারন মানুষ সন্তোষ প্রকাশ করে উপজেলা নিবার্হী অফিসারের এ মানবিক কাজ সবাইকে উদ্বুদ্ধ করবে বলে মনে করছেন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
নিবার্হী কর্মকর্তার অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত এপ্রিল মাস পর্যন্ত সারাদেশে করোনা রোগী সনাক্ত হলেও অত্র উপজেলাতে কোন করোনা রোগী সনাক্ত ছিল না। কিন্তু গত ১৮মে ডুমুরিয়া উপজেলার ২নং রঘুনাথপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের আন্দুলিয়া গ্রামের বাসিন্দা একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স লিমা খাতুন প্রথম করোনা রিপোর্ট পজেটিভ আসে। এর পরবর্তীতে গত ২১ মে বৃহস্পতিবার একই উপজেলার ৩নং রুদাঘরা ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের হাসানপুর দক্ষিণ মিকশিমিল মদিনা জামে মসজিদের পাসে বসবাসরত ঢাকা থেকে আগত মোঃ শহিদ গাজী নামের এক যুবকের করোনা পজিটিভ ধরা পড়ে। এ পর্যন্ত উপজেলার মোট ৫৩ জন লোকের নমুনা পরীক্ষা করানো হয় তার মধ্য থেকে ২ জনের পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে।এ দুজনকে চিকিৎসকের নিদের্শে হোম কোয়ারেন্টিনে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে দেশে কোরোনা ভাইরাসের প্রভাব দেখা দেয়ার পর থেকে ডুমুরিয়া উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।তার মধ্যে উপজেলা মানবিক সহায়তা সেল গঠন, সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করন, জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে প্রচার প্রচারণা, ঘরে খাবার না থাকা পরিবারের বাড়িতে খাবার পৌঁছানো এবং যারা বাইরে থেকে নিজ এলাকায় সম্প্রতি এসেছে তাদের হোমকোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করন করা হচ্ছে। পাশাপাশি কর্মহীন মানুষের খাবারের ব্যবস্থা করা ও সরকারি নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনের আওতায় এনে শাস্তি মূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা। একই সাথে করোনা আক্রান্ত রোগীদের ব্যাপারে কেউ যেন তাদের সাথে অমানবিক আচরণ না করে সেদিকে খেয়াল রাখা। তাদের চিকিৎসার ব্যাপারে সার্বিক খোঁজখবর নেয়া। এই কার্ক্রমের অংশ হিসেবে ঈদকে সামনে রেখে শুক্রবার করোনা আক্রান্ত দুইজন রুগীর বাড়িতে ভালোবাসার উপহার পৌঁছে দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম। এই উপহারের মধ্যে রয়েছে আপেল, মালটা সহ হরেক রকমের ফল এবং ঈদের শুকনা খাবার সেমাই’ গুঁড়াদুধ সহ হরেক রকমের খাদ্য সামগ্রী। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের ঈদ উপহার পেয়ে খুশী হয়েছেন করোনা আক্রান্ত দুটি পরিবারের লোকজন। বিশেষ করে দুই করোনা রোগী সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার যা করেছেন ্েটার মধ্য দিয়ে আমাদের ও পরিবারের মনোবল আরও বেড়ে গেলো। আমরা অসহায় নই। আমাদের পাশে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ অনেকেই রয়েছেন। আমরা করোানর এ যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে ফিরে আসবো বলে আশাবাদী।
ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোছাঃ শাহনাজ বেগম বলেন, করোনা ভাইরাসের আক্রমণ শুধু দেশেই নয় এটা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। আর আক্রান্ত রোগীরদের পাশে দাঁড়ানো মানবিক দায়িত্ব বলে আমি মনে করি। তবে কেউ যেন আক্রান্ত হয়ে তার মনোবল না হারায় সে দিকটা বিবেচনা করেই আমরা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। আমার উপজেলায় বর্তমানে যে দুইজনের পজেটিভ এসেছে তাদের সব সময় খোঁজ খবর রাখছি। এবং তারা যাতে দ্রত সময়ে সুস্থ্য হয়ে উঠতে পারে তার জন্য যা যা করা প্রয়োজন আমরা উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ হতে তাদের জন্য সার্বিক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছি ইনশাআল্লাহ।