হোম আন্তর্জাতিক করোনা মহামারিতে নিউ ইয়র্কের “দেবদূত” খ্যাত চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ

করোনা মহামারিতে নিউ ইয়র্কের “দেবদূত” খ্যাত চিকিৎসক ফেরদৌস খন্দকারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ

কর্তৃক
০ মন্তব্য 77 ভিউজ

তাকে চিনতে এখন আর নামের আগে পরে কোনো পদবীর দরকার হয় না। লাখ লাখ মানুষ তার নামের আগে অসংখ্য বিশেষন জুড়ে দিয়েছেন। মানুষের হৃদয় নিংড়ানো সেসব বিশেষন পৃথিবীর সবচেয়ে দামী। কেউ বলেন,“দেবদূত” কেউ “মানবতার দূত”, “সুপার হিরো”, অনেকেই বলেন- “করোনা যুদ্ধের নায়ক” আরো অনেক কিছু।
ভালোবাসা দিয়ে মোড়ানো এতসব বিশেষন এক জীবনে পাওয়া সম্ভব? হ্যাঁ সত্যিই সম্ভব! আর সেটা অর্জন করে দেখিয়েছেন কোটি মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নেয়া নিউ ইয়র্কের একজন বাঙালি চিকিৎসক। তার নাম ফেরদৌস খন্দকার। ঘরে বসেই করোনা যুদ্ধে জয়ি হওয়ার পরামর্শ দিয়ে বিশ্বব্যাপী বাঙালিদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছেন তিনি। চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি মানবসেবার অনন্য নজির গড়েছেন। মহামারির এই দু:সময়ে বাংলাদেশে এমন একজন সত্যিকারের “নায়ক”এর প্রয়োজন বলে ঝড় উঠেছে সোস্যাল মিডিয়ায়।
একজন মানুষ, একজন চিকিৎসক কতটা মানবিক, কতটা আন্তরিক আর তার ভিতরে কতটা দেশপ্রেম থাকলে এমন উচ্চতায় নিজেকে নিয়ে যেতে পারে তা তিনি প্রমাণ করেছেন তার কর্মযজ্ঞ দিয়ে। একজন চিকিৎসক রোগিকে চিকিৎসা দেবেন এটা স্বাভাবিক। কিন্তু রোগির বাড়িতে গিয়ে চিকিৎসা সেবা দেয়া ছাড়াও হাতে করে চাল-ডাল বাজার করে নিয়ে যাচ্ছেন নিজ হাতে। নগদ ডলার ও দিচ্ছেন কাগজপত্রহীন অসহায় প্রবাসীদের। এমন ঘটনা আমেরিকায় বিরল।
কিভাবে করোনা থেকে রক্ষা পেতে হবে, করোনা হলে কি ওষুধ খেতে হবে, কিভাবে ঘরোয়া টোটকা বানাতে হবে, শ্বাসকষ্ট হলে করোনা রোগির কি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে, কিভাবে মনের সাহস এবং শক্তি বাড়াতে হবে এমন সব ধরনের পরামর্শ দেয়া শুরু করে দিনে দু’বার ফেসবুক লাইভে এসে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে বসবাসরত প্রবাসীরা ছাড়াও বাংলাদেশের কোটি মানুষ এই ফেসবুক লাইভ দেখে করোনা সম্পর্কে সচেতন হয়েছে। তিনি ফেসবুক লাইভে আসলেই কয়েক মিনিটের মধ্যেই লাখ লাখ মানুষ সেই লাইভ দেখা শুরু করে।

লকডাউনের পর থেকে তিনি নিউ ইয়র্কের শতশত প্রবাসী বাংলাদেশীকে চাল,ডাল ও নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস দেয়ার পাশাপাশি নগদ অর্থ ও দিয়েছেন। বিশেষ করে কাগজপত্রহীন ৫শতাধিক প্রবাসী খাদ্য সহায়তা ছাড়াও একশ’ ডলারের গিফট কার্ড দিয়েছেন। দুই শ’ নেপালী শিক্ষার্থীদের খাদ্য সহায়তা ও নগদ অর্থ দিয়েছেন। আর বাংলাদেশে ৫০ হাজার পরিবারের ১ মাসের খাবারের দায়িত্ব নিয়েছেন “মানবতার দূত” খ্যাত এই চিকিৎসক। এজন্য শুধু বাংলাদেশের মিডিয়ায় নয়, আমেরিকার মেইনস্ট্রিম মিডিয়ায় ও ডা. ফেরদৌস খন্দকারকে নিয়ে হইচই পড়ে গেছে। আমেরিকার ন্যাশনাল টিভি চ্যানেলসহ একাধিক টিভি চ্যানেল ও বিশ্ববিখ্যাত পত্রিকা গুলোতে তার কমিউনিটি সেবার সংবাদ ফলাও করে প্রচার করেছে।
করোনা শুরু হওয়ার সাথে সাথে নিউ ইয়র্কের ৩৫০জন বাঙালি চিকিৎসকের প্রায় সবাই যখন চেম্বার বন্ধ করে বাড়িতে চলে গেছেন। হাজার হাজার প্রবাসী বাংলাদেশী যখন চিকিৎসা সেবা পাওয়ার জন্য মরিয়া, হাসপাতালে করোনা রোগির জন্য তিল ঠাঁই নেই, মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখন বাংলাদেশীদের সামনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই মৃত্যুপুরীকে বুক চিতিয়ে দাঁড়ালেন শুধু একজন ফেরদৌস খন্দকার। জ্যাকসন হাইটসে নিজের ক্লিনিক “ওয়েস্টার্ন কেয়ার” থেকে ১৫ সদস্যের চিকিৎসক ও নার্স টিম নিয়ে টেলিফোন ও ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রবাসী বাংলাদেশীদের চিকিৎসা সেবা দেয়া শুরু করেন নিউ ইয়র্কের বিখ্যাত মাউন সাইনাই হসপিটালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ।
কোনো ব্যাক্তি করোনায় আক্রান্ত হলে জরুরী সেবা ৯১১ এ কল করলেই এ্যাম্বুলেন্স এসে তাকে হাসাপাতালে নিয়ে যায়। যে হাসপাতালে করোনা রোগির সংখ্যা কম সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। রোগির সাথে স্বজনদের যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। এমনকি রোগি কোন হাসপাতালে আছে সেটা জানারও কোনো উপায় নেই। এমন অবস্থায় প্রবাসী বাংলাদেশীরা যখন করোনা আক্রান্ত স্বজনদের খবর পেতে দিশেহারা তখন একমাত্র ভরসা ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকার। তিনি তার চিকিৎসক বন্ধুদের সহায়তায় রোগি কোন হাসপাতালে আছে, কেমন আছে তা খুঁজে বের করে সেই খবর স্বজনদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন।
প্রবাসী বাংলাদেশীদের বাড়িতে খাবার ও অর্থ সাহায্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য সম্প্রতি কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পাশে পেয়েছেন তিনি। নিউ ইয়র্কের বাংলাদেশ স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সাথে আছেন তার স্ত্রী আঞ্জুমান আরা দিনা আর দুই ছেলে আকিব খন্দকার ও নাকিব খন্দকার। স্বেচ্ছাসেবি দলের সদস্য মারুফ, আবু ইউসুফ টিটু, এবং জুয়েল নূরসহ কয়েকজন খাবার কিনে আনা, প্যাকেট করা এবং সবার বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিচ্ছেন।

ডা. ফেরদৌস খন্দকারের এক ঘনিষ্ঠ বন্ধু নিউ ইয়র্ক মেইলকে জানিয়েছেন, ভালো লোকেশনে একটি দামি বাড়ি কেনার জন্য ব্যাংকে ডাউন পেমেন্ট দিতে বেশ মোটা অংকের অর্থ জমিয়েছিলেন ফেরদৌস ও তার স্ত্রী দিনা। কিন্তু করোনা ভাইরাসে প্রবাসী বাংলাদেশীদের দুর্দশা দেখে জমানো সব অর্থ দেশের মানুষের সেবায় খরচ করেছেন। আর এ কাজে তার স্ত্রী দিনা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ যুগিয়েছেন।
নিউ ইয়র্কের এলমহার্টস এলাকার বাসিন্দা নিত্যানন্দ রায় (নিত্য) নিউ ইয়র্ক মেইলকে জানান, ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে তিনি ডা. ফেরদৌস খন্দকারের কাছে চিকিৎসা হচ্ছেন। তার চেম্বারে গেলে হাসিমুখে পরিবারের সবার খবর নেয়। রোগের বিবরণ শুনে প্রথমে বলে তেমন কোনো সমস্যা নেই। ওষুধ খেলে কয়েক দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যাবেন। ডাক্তারের হাসিমুখ দেখেই রোগির অসুখ অর্ধেক ভালো হয়ে যায়। ডাক্তারের সামনে থেকে চলে আসার সময় বেশিরভাগ বাংলাদেশিদের তিনি জিজ্ঞাসা করেন যে, কোনরকম আর্থিক সমস্যা আছে কি না। সমস্যা থাকলে তিনি আর্থিক সহযোগিতা করতে চান। নিত্য আরো বলেন, আমার পরিচিত অনেক বাংলাদেশি তার কাছ থেকে আর্থিক সহায়তা পেয়েছে। দেশের মানুষের জন্য এত ভালোবাসা অন্য কারো মধ্যে কখনও দেখিনি।
নিউ ইয়র্ক প্রবাসী ফটোসাংবাদিক সানাউল হক করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হন এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জ্বর, কাশি, গলা ব্যাথা নানা সমস্যা দিন পার করছিলেন। ডাক্তারের পরামর্শে নিয়মিত এ্যান্টি বায়োটিকস খাচ্ছিলেন। কিন্তু ৪/৫ দিন পর তার অবস্থার অবনতি ঘটে। প্রচ- শ্বাসকষ্টের কারণে গভীর রাতে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েন। তার স্ত্রী সাকি দিশেহারা হয়ে সানাউলের ঘনিষ্ঠ সাংবাদিক বন্ধুদের ফোন করতে থাকেন। এরমধ্যে সাংবাদিক নিহার সিদ্দিকী যোগাযোগ করেন নিউইয়র্কে বাঙালী কমিউনিটির জনপ্রিয় ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের সঙ্গে। রাতেই ডাক্তার ফোন করে সানাউলকে হাসপাতালে ভর্তি হতে বলেন। কিন্তু হাসপাতালে ভর্তি হতে চাননি সানাউল। সব মিলিয়ে অকুল পাথারে পড়েন তিনি ও তাঁর পরিবার। পরদিন দুপুরে দেবদূতের মতো সানাউল হকের জ্যামাইকার বাসায় হঠাৎ হাজির হন ডা. ফেরদৌস খন্দকার। তিনি ভালো ভাবে চেক আপ করেন এবং শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যার জন্য নেবুলাইজার দেন। জ্বর, কাশি ও নিউমোনিয়া যাতে না হয় এজন্য আলাদা ভাবে ওষুধ দেন। শ্বাসকষ্ট হলে কি ধরনের ব্যায়াম করতে হবে সেটা দেখিয়ে দেন। সানাউল হকের স্ত্রী আশরাফি হক সাকি নিউ ইয়র্ক মেইলকে জানান, আমেরিকায় রোগির বাড়িতে ডাক্তার আসার ঘটনা বিরল। আমরা খুব দুশ্চিন্তায় ছিলাম। কিন্তু ফেরদৌস খন্দকারের মতো একজন চিকিৎসক বাড়িতে আসার পর আমরা মনে সাহস পাই। আর ডাক্তারকে দেখে আমার স্বামী যেন অর্ধেক সুস্থ হয়ে উঠেন। চিকিৎসকের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমরা পরিবারের সবাই সারা জীবন এটা মনে রাখবো।

বিশিষ্ট মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক প্রফেসর ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ টেলিফোনে নিউ ইয়র্ক মেইলকে জানান, করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের যথেষ্ঠ প্রস্তুতি রয়েছে। বহু চিকিৎসক ও নার্স আক্রান্ত হয়েছেন। কয়েকজন মারা গেছেন। তবে সেসব সংকট কাটিয়ে সঠিক চিকিৎসা এবং জনসচেতনতার বিষয়টি গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। এই মুহুর্তে সচেতনতার কোনো বিকল্প নেই। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করোনায় পৃথিবীর মধ্যে আমেরিকার অবস্থা সবচেয়ে খারাপ। সেখানকার চিকিৎসকরা দিনরাত পরিশ্রম করছেন রোগিদের বাঁচানোর জন্য। আমেরিকায় মৃত্যুর হার অনেক কমে এসেছে। আমেরিকার ওষুধ রেমডেসিভির আমাদের দেশে করোনা আক্রান্ত রোগিদের প্রয়োগের বিষয়ে আমরা চিন্তাভাবনা করছি। স্থানীয়ভাবে আমাদের দেশের ওষুধ কোম্পানীগুলো উৎপাদন শুরু করতে পারলে চিন্তামুক্ত হওয়া যাবে। তিনি আরো বলেন, নিউ ইয়র্ক প্রবাসী অনেক বাঙালি চিকিৎকের সুনাম ইতিমধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারলে দেশের মানুষ উপকৃত হবে। জাতি তাদেরকে ওয়েলকাম করবে।
ডা. ফেরদৌস খন্দকার নিউ ইয়র্ক মেইলকে জানান, মানবসেবার যে ব্রত নিয়ে চিকিৎসা পেশায় এসেছিলাম সত্যিকারের সেই সেবা করার সুযোগ দিয়েছেন সৃষ্টিকর্তা। করোনা মহামারিতে আমার দেশের মানুষ অসহায়, অসুস্থ্য কিংবা না খেয়ে থাকবে আর আমি ঘরে বসে থাকবো সেটা সম্ভব নয়। এই মুহুর্তে চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি খাদ্য সহায়তাও খুব বেশি প্রয়োজন। শুধু চিকিৎসক নয়, একজন মানুষ হিসেবে অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। শুধু নিউ ইয়র্কে নয়, দেশেও আমি এবং আমার টিম কাজ করছে। ৫০ হাজার মানুষের এক মাসের খাদ্য সহায়তা করছি। চিকিৎসক এবং পুলিশের জন্য ১৫ হাজার কেএন-৯৫ মাস্ক দিচ্ছি যেটা তাদের এই মুহুর্তে খুব প্রয়োজন। দেশের মানুষের সেবায় প্রয়োজনে সর্বস্ব বিলিয়ে দেবেন বলে জানালেন মাউন্ট সাইনাই হাসপাতালের এই মেডিসিন বিশেষজ্ঞ। আপনাকে এই মুহুর্তে বাংলাদেশে খুব প্রয়োজন সোস্যাল মিডিয়ায় এমন দাবি উঠেছে জানালে সদাহাস্যোজ্জ্বল এই চিকিৎসক বললেন, সবার আগে দেশ এবং দেশের মানুষ। দেশ চাইলে শুধু মানুষের সেবা নয়, জীবন দিতেও প্রস্তুত।
মরণব্যাধী করোনা ভাইরাস বা কেভিড-১৯ পৃথিবীর কাছে সম্পূর্ণ অচেনা একটি রোগ। এজন্য চিকিৎসকরা এই ভাইরাসে আক্রান্ত রোগিদের চিকিৎসা করতে হিমসিম খাচ্ছে শুরু থেকেই। করোনায় বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত এবং মৃত্যু নিউ ইয়র্ক রাজ্যে। গত দুই মাসে এখানকার চিকিৎসকরা শতশত করোনা আক্রান্ত রোগির চিকিৎসা দিয়েছেন। তাই তাদের অভিজ্ঞতা ঝুলি অনেক ভারি।
বাংলাদেশে মাত্র কয়েকদিন হলে করোনা সংক্রমন শুরু হয়েছে। চিকিৎসকরা রোগের লক্ষন বুঝে রোগির চিকিৎসা দিতে হিমসিম খাচ্ছে। ভাইরাসের গতিবিধি না বোঝা এবং সচেতনতার অভাবে বহু চিকিৎসক ও নার্স করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন যেটা সাধারণ মানুষের মনে আরো ভীতির সৃষ্টি করেছে। অথচ নিউ ইয়র্কের ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের ফেসবুক লাইভ এবং ইউটিউব ভিডিও দেখে লাখ লাখ মানুষ সচেতন হয়েছে। যেটা বাংলাদেশের চিকিৎসকরা এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর পারেনি।
করোনা মহামারীর এই দু:সময়ে ডাক্তার ফেরদৌস খন্দকারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ এমন দাবি উঠেছে সোস্যাল মিডিয়া ছাড়াও বিভিন্ন মহল থেকে। দি নিউওয়াক মেইল :

তথ্য সূত্র নিউওয়াক মেইল

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন