হোম জাতীয় করোনায় সামনে কঠিন সময়, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই: কাদের

করোনায় সামনে কঠিন সময়, ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধের বিকল্প নেই: কাদের

কর্তৃক
০ মন্তব্য 108 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক :

ঈদের সময় গ্রাম-শহরের মানুষের অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সড়ক পরিবহন মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের অসাবধানতার কারণে সামনে বাংলাদেশের জন্য আরও কঠিন সময় আসছে। প্রাণঘাতী এ ভাইরাস থেকে রেহাই পেতে প্রতিরোধ ব্যবস্থা জোরদারের বিকল্প নেই। সামনের কঠিন সময় আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। ধৈর্যহারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বন করি।

মঙ্গলবার (২৬ মে) সংসদ ভবন এলাকার সরকারি বাসভবন থেকে এক ভিডিও বার্তায় ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।

সরকার নির্দেশিত স্বাস্থ্যবিধি মানতে মানুষের মধ্যে শৈথিল্যভাব সৃষ্টি হওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অধিকাংশ মানুষের মধ্যে ধৈর্য ও শৃঙ্খলার ঘাটতি দেখা যাচ্ছে। অনেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে ঘরে অবস্থান করলেও, অনেকেই এসব কানে তুলছেন না। স্বাভাবিক সময়ের মতো ঘোরাফেরা করছেন, হাট-বাজারে, ভিড় ও জনসমাগমে অংশ নিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। এ উদাসীনতায় নিজের ও আশপাশের সবার ভয়ানক বিপদ ডেকে আনছেন। অবনতি ঘটেছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ উদ্যোগের। এতে শহরে-গ্রামে সর্বত্রই সংক্রমণ ও মৃত্যু বাড়ছে।

ওবায়দুল কাদের সবার প্রতি আবারও আহ্বান জানিয়ে বলেন, দয়া করে আসুন সবাই সচেতন হই। স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে চলি। কারণ, প্রতিকার সমাধান নয়, এ ভাইরাস থেকে বাঁচতে ও সুরক্ষা পেতে প্রতিরোধের বিকল্প নেই। আপনার সামান্যতম শৈথিল্য নিজ পরিবার এবং পার্শ্ববর্তী সবার ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনতে পারে।

ঈদের সময় ও ঈদের আগে গ্রামে ও শহরে মানুষের অবাধ বিচরণ করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বাংলাদেশের করোনা পরিস্থিতি ক্রমেই অবনতি হওয়ার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, করোনাভাইরাস আক্রান্ত বিশ্বের ২১৫টি দেশ এবং অঞ্চলসমূহের মাঝে বাংলাদেশের অবস্থানের আরও অবনতি হয়েছে। বাংলাদেশের অবস্থান বর্তমানে ২৩তম। এর সংক্রমণ থেকে ছোট-বড়, ধনী-গরিব কেউই রেহাই পাচ্ছে না। সামনের কঠিন সময় আসুন আমরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলি। আগামী কিছু দিনে বাংলাদেশের পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে বলেও বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। ধৈর্যহারা না হয়ে সাবধানতা অবলম্বনের জন্য আবারও আহ্বান জানাচ্ছি। যারা ফ্রন্টলাইনে যুদ্ধ করেছেন তাদেরও মনোবল না হারিয়ে সাহসিকতার সঙ্গে লড়াইয়ের অনুরোধ জানাচ্ছি।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন