অনলাইন ডেস্ক :
করোনায় আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলছে। ইতোমধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা শতকের ঘর পেরিয়েছে। আর করোনায় মারা গেছেন তিন জন। করোনা মোকাবিলার অংশ হিসেবে সঠিক তথ্য মানুষের সামনে তুলে ধরতে সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে কাজ করছেন গণমাধ্যমকর্মীরা। কিন্তু আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় প্রশ্ন উঠেছে গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত নিয়ে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, করোনা মহামারিতে গণমাধ্যমকর্মীদের ঘরে বসে থাকার কোনও সুযোগ নেই। তারপরও যতটা পারা যায় নিজেরা নিজেদের সুরক্ষিত রেখেই কাজ করতে হবে। প্রয়োজনে গণমাধ্যমগুলোকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিউজ ও দায়িত্ব রেশনিং করার মাধ্যমে ঝুঁকির মাত্রা কমিয়ে আনতে হবে। এই উদ্যোগ নিতে হবে গণমাধ্যমের মালিকদের। একইসঙ্গে করোনায় আক্রান্ত গণমাধ্যমকর্মীদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মালিকপক্ষ ও সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে।
গত ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এরপর থেকে এই সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি আক্রান্ত হচ্ছেন করোনা মোকাবিলায় সম্মুখযোদ্ধা হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী চিকিৎসক, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে অন্তত ১১৩ জন সংবাদকর্মী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। কেউ হাসাপাতালে, কেউ বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে বেশ কয়েকজন সুস্থ হয়ে কাজেও যোগ দিয়েছেন। এখন পর্যন্ততিন জন গণমাধ্যমকর্মী করোনায় মারা গেছেন।
সংবাদকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়ে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের (ডিইউজে) সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ বলেন, ‘করোনায় আক্রান্ত শুরু হওয়ার পর থেকেই গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানগুলোকে নানা উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আমরা বলে আসছি। গণমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষকেই করতে হবে। প্রত্যেক সংবাদকর্মীকে পর্যাপ্ত পরিমাণ সুরক্ষা সামগ্রী দিতে হবে। আমরা আইসোলেটেড বার্তা কক্ষ করার জন্য বলেছি। নিউজ ও দায়িত্ব রেশনিং করার আহ্বান জানিয়েছি। যাতে একটি ঘটনা কোনও একটি প্রতিষ্ঠানের একজন কাভার করে তা সব গণমাধ্যম শেয়ার করতে পারে। তাতে ঝুঁকির মাত্রা অনেক কম থাকে।’
তিনি বলেন, ‘আরেকটি বিষয় হলো কেউ যদি আক্রান্ত হয়, তাহলে তার চিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। ভালো হাসপাতালে চিকিৎসা দিতে হবে। এক্ষেত্রে গণমাধ্যম মালিকদের পাাশাপাশি সরকারকেও এগিয়ে আসতে হবে। যারা মারা যাবেন তাদের জন্যক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করতে হবে। কিন্তু কোনও কোনও গণমাধ্যম কর্তৃপক্ষ কর্মীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করছে না। এমনকি করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়ার পর তার পরীক্ষাও করানো হয়নি। এটি মালিকপক্ষের ক্ষতিপূরণ না দেওয়ার জন্য একটি ভ্রান্ত কৌশল। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়।’