হোম জাতীয় করোনার মুখে খাওয়ার ওষুধ নিয়ে বিস্ময়কর সাফল্য

জাতীয় ডেস্ক :

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক ওষুধ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বহুজাতিক ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্ড কোম্পানির তৈরি মুখে খাওয়ার কোভিড ট্যাবলেট পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফলাফল দেখিয়েছে।

করোনাভাইরাস প্রতিরোধে পরীক্ষামূলক ওষুধ তৈরি করেছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির বহুজাতিক ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্ড কোম্পানির তৈরি মুখে খাওয়ার কোভিড ট্যাবলেট পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফলাফল দেখিয়েছে।

ওষুধটি করোনায় সংক্রমিত রোগীর মৃত্যু ও হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার ঝুঁকি অর্ধেক কমিয়ে দেয় বলে দাবি করছে প্রতিষ্ঠানটি।বিশ্বজুড়ে এখনো কমেনি করোনার প্রকোপ। দৈনিক কয়েক লাখ মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন নতুন কোরে।

প্রতিদিন মৃত্যুর মিছিলে নাম লেখাচ্ছেন অনেকেই। ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর ভাইরাসের প্রকোপ কমে এলেও জীবন বাঁচানো এই টিকাই বিশ্বের অনেক দেশের কাছে সোনার হরিণ।

এমন অবস্থায় করোনার ট্যাবলেট বানানো এবং তার পরীক্ষামূলক প্রয়োগে আশা জাগানো ফল পেয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের একটি ঔষধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি মার্ক অ্যান্ড কো। প্রাথমিকভাবে ট্যাবলেটটির নাম দেয়া হয়েছে মলনুপিরাভির।

ওষুধটির মাধ্যমে হাসপাতালে গুরুতর করোনা রোগীর ভর্তি ও মৃত্যুর সংখ্যা অর্ধেকে নামিয়ে আনা সম্ভব বলে দাবি করেছেন এর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান। ওষুধটি করোনায় আক্রান্তদের দিনে দুইবার খেতে হবে বলেও জানায় তারা।

এদিকে ট্যাবলেটে সেবন করলেও ভ্যাকসিন নিতে হবে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্কুল অব ট্রপিকাল মেডিসিন কলেজের প্রধান।৭শ ৭৫ জন রোগীর উপর চালানো গবেষণার বিশ্লেষণ বলছে, যাদের মলনুপিরাভির দেওয়া হয়েছে তাদের মধ্যে ৭.৩ শতাংশকে হাসপাতালে ভর্তি হতে হয়েছে।

ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠানটি বলেছে, গবেষণার ফলাফল ইতিবাচক হওয়ায় আগামী ২ সপ্তাহের মধ্যে এই ওষুধের জরুরি ব্যবহারের অনুমোদনের আবেদন করবে তারা।

অনুমোদন পেলে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় প্রথম অ্যান্টিভাইরাল ওষুধ হবে মলনুপিরাভির। ভাইরাসের জিনগত কোড পরিবর্তনের জন্য ডিজাইন করা হয়েছে এ ওষুধ। ২০২১ সালের শেষের দিকে ট্যাবলেটটির ১০ মিলিয়ন কোর্স তৈরি করা হবে বলে আশা করছে এর প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন