হোম অন্যান্যসারাদেশ করোনার মধ্যেও মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

করোনার মধ্যেও মোংলা বন্দরে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন

কর্তৃক
০ মন্তব্য 126 ভিউজ

সোহাগ মোল্লা, মোংলা:

চলতি বছরের মার্চ থেকে করোনা ভাইরাসের প্রভাবে সবক্ষেত্রে নেমে আসে স্থাবিরতা। সারাদেশে লকডাউনে ব্যবসা-বানিজ্যে ধ্বংস নামলেও ব্যতিক্রম ছিল মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি।  চলতি বছরের এপ্রিল মাসে এই বন্দর দিয়ে জাহাজ  আগমনের সংখ্যা কিছুটা কম হলেও মে ও জুন মাসে এর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়ে যায়। বন্দর  ব্যবস্থাপনা, সঠিক নির্দেশনা সবাই মেনে চলায় এ সাফল্য বলে মনে করেন বন্দরের চেয়ারম্যার রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান।

তিনি বলেন, “আমরা কোন অবস্থায় বন্দরের কার্যক্রম বন্ধ  রাখিনি এবং বিদেশি যারা এসেছিলেন তাদেরকে যথাযথ
ভাবে সাহায্য করেছি। এছাড়া জাহাজ যেগুলো এসেছে-প্রতিটি জাহাজকে করেন্টাইন রুলস মেনে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি” বন্দরের শীর্ষ এ পদস্থ কর্মকর্তা আরও বলেন, আমাদের নিজস্ব  প্রজেক্ট আছে, জিওবির আন্ডারেও প্রজেক্ট আছে।  প্রত্যেকটি প্রজেক্ট প্লান মাফিক চলছে।

মোংলা বন্দরের ট্রাফিক পরিচালক মোঃ মোস্তফা কামাল  জানান, করোনা পরিস্থিতিতে জাহাজ আগমন ও  নির্গমনের কার্যক্রমে কোন ভাটা পড়েনি। তিনি আরও  বলেন, এ বন্দরে গত অর্থ বছরে ৯’শ ৩ টি জাহাজ আসে এবং এক লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন কার্গো হ্যান্ডলিং হয়েছে।  অন্যদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও বন্দরে দীর্ঘ ও স্বল্প মেয়াদী উন্নয়ন প্রকল্পের কার্যক্রমে কোন ব্যাঘাত ঘটেনি  বলেও জানান তিনি।  মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের অর্থ ও হিসাব রক্ষন বিভাগ থেকে  জানা যায়, করোনাকালীন সময়ে গত মে মাসে মোংলা  বন্দরে বিদেশি বানিজ্যিক জাহাজ এসেছে ৫৯ টি এবং  রাজস্ব আয় হয়েছে ২০ কোটি ২৯ লক্ষ ৮২ হাজার টাকা,  জুন মাসে ৫২ টি এবং রাজস্ব আয় হয়েছে ১৮ কোটি ৬২ লক্ষ ৬৪ হাজার, জুলাই মাসে ৬৪ টি জাহাজ এবং রাজস্ব  আয় হয়েছে ২৩ কোটি ১৩ লক্ষ ৭৫ হাজার, আর আগষ্ট মাসে  ৭০ টি জাহাজ এ বন্দরে আগমন হয়েছে এবং রাজস্ব আয়  হয়েছে ২৪ কোটি ৫২ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা।

এদিকে বন্দরের এ অর্থ বিভাগ জানায়, গত এক দশকে এ বন্দর  দিয়ে দেশি-বিদেশি জাহাজ আসা ও যাওয়ার সংখ্যা  বেড়েছে পাঁচ গুন। সবক্ষেত্রে রাজস্ব আয় হয়েছে ৩’শ ২০  কোটি টাকা।  মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্স মালিক  এইচ এম দুলাল বলেন, করোনাকালীন সময়ে পণ্য বোঝাই ও  খালাসে তাদের কোন বেগ পেতে হয়নি। বন্দরের এ ব্যবসায়ী  আরও বলেন, সারা বিশ্বের অর্থনীতিতে যখন করোনা প্রভাবে ভাটা দেখা দিয়েছে, তখন মোংলা বন্দর তাদের পণ্য  ওঠা-নামা স্বাভাবিক রেখে লক্ষমাত্রার রাজস্ব আয় করেছে।  বন্দরের আরেক ব্যবসায়ী মশউর রহমান জানান, করোনাকালীন  সময়ে ভিন্ন চিত্র ছিল মোংলা বন্দরে। এ বন্দর দিয়ে তারা  নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ছাড় করাতে পেরেছেন। তিনি বলেন,  এর ফলে বন্দরের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের সাথে সংশ্লিষ্ট  কয়েক লক্ষ মানুষ করোনা কালীন সময়েও তাদের উপার্জন  স্বাভাবিক রাখতে পেরেছেন।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন