সংকল্প ডেস্ক :
ধীরে ধীরে বাড়তে শুরু করেছে শীত। সেই সঙ্গে বাড়ছে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের (ওয়েভ) আতঙ্ক। শীত আর করোনার সেকেন্ড ওয়েভকে ঘিরে মাস্কের দাম বাড়তে শুরু করেছে। এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রকারভেদে প্রতিটি মাস্কের দাম দুই থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। বক্সপ্রতি দাম বেড়েছে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত।এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারের পক্ষ থেকে মাস্ক ব্যবহারের বাধ্যতামূলক নির্দেশনা রয়েছে। আবার মাস্কের ব্যবহার নিশ্চিত করতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে। অভিযানে জরিমানার পাশাপাশি মাস্কও বিতরণ করা হচ্ছে। কিন্তু হঠাৎ করেই মাস্কের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণ হিসেবে জনসাধারণ ‘অসাধু ব্যবসায়ীদের মুনাফালোফী মনোভাবকে’ দায়ী করছেন।
সরকারের অব্যাহত অভিযান ও সচেতনতামূলক কার্যক্রমের কারণে রাজধানীতে গণপরিবহনের যাত্রী থেকে শুরু পথচারী ও ব্যবসায়ীসহ সব শ্রেণির মানুষের মাঝে মাস্কের ব্যবহার বাড়ছে। যারা নিয়মিত মাস্ক ব্যবহার করতেন না কিংবা অনীহাবোধ করতেন তারাও বাধ্য হয়ে মাস্ক ব্যবহার করছেন। আবার শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে করোনা বিস্তারের বিষয়ে দুশ্চিন্তায়ও আছেন অনেকে। মাস্কের বাধ্যতামূলক ব্যবহারের সঙ্গে চাহিদা বৃদ্ধির সুযোগকে কাজে লাগিয়ে দাম বাড়ানো হচ্ছে বলেও ক্রেতা-বিক্রেতারা অভিযোগ করছেন।
সংকট নেই জানিয়ে রাজধানীর পল্টন এলাকার পাইকারি মাস্ক ব্যবসায়ী মাহমুদ বলেন, ‘আমরা ব্যবসায়ী, দাম বাড়লে আমরা কী করবো? বাজারে তো মাস্কের সংকট নেই কিন্তু তারপরও দাম বাড়ছে। এক সপ্তাহ আগেও মানুষ কম দামে মাস্ক কিনেছে, আমরাও বিক্রি করেছি। কিন্তু এখন এক বক্স মাস্কের দাম ২০ থেকে ৫০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। তাহলে আমরা তো বেশি দামেই বিক্রি করব। যারা তৈরি করে কিংবা আমদানি করে তারাই মাস্কের দাম বাড়ার বিষয়ে ভালো জানে। তবে দাম বাড়লেও শীতের কারণে করোনা বাড়ছে এ আতঙ্কে মানুষ মাস্ক কিনছে; তবে কম করে কিনছে।’
এ বিষয়ে মাস্ক সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান মেডিকেল মার্কেট বিডি’র মালিক মো. বেলায়েত জাগো নিউজকে বলেন, ‘মাস্কের দাম তো আগেও বেশি ছিল। মাঝে একটু কমেছিল। এখন আবার আমদানি বন্ধ থাকায় পর্যাপ্ত জোগান নেই। আগের মাস্ক নিয়েই ব্যবসা করতে হচ্ছে। কারণ, আগে আমদানিকৃত যে মাস্ক রয়েছে তার ২০ শতাংশও বিক্রি হয়নি। এখন মাস্কের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় হয়তো দাম কিছুটা বেড়েছে।’