সংকল্প ডেস্ক :
করোনারে করোনা
তুই হলি সব যন্ত্রণা।
তোর থাবায় মরলে লাকি
ব্যাংকার পায় পঞ্চাশ লাখ।
তুই কি মানুষ বেছে খাস
কিষান শ্রমিকের হয় কি জানিস।
রোগ সারাতে টাকা জোটেনা
মরণের পর জায়গা মেলে না।
এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম
এই নাকি তোর বিধান।
তোর হামলায় মরলে পরে
কেউ আসে না গরিবের ধারে।
করোনারে করোনা
আরে একটুখানি থাম না।
মানুষ খেকো করোনা
তোর কি পেট ভরে না।
কারও কপালে লাখে লাখ
অন্যের বেলায় চিচিং ফাঁক।
পুলিশ ডাক্তার পায় ভাগা
মুটে মজুরের কপাল ফাঁকা।
চাকরিজীবী ঘরে বসে
বেতন তুলে খায় দায়।
গাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়ায়
হর্ণ বাজিয়ে লোক সরায়।
ঈদ বাজারে ভিড় করে
শপিং ব্যাগ ভর্তি করে।
আমাদের কয় সরে দাঁড়াও
আম জনতা ভয় পেয়ে যায়।
সরকারজীবী আরও মজায়
ঘরে শুয়ে ঠ্যাং নাচায়।
হাঁকিয়ে গাড়ি ভাঙ্গে লক
বলে দোকান বন্ধ রাখ।
স্কুল কলেজ খুলবি না।
ছেলে মেয়েরা থাকবি বাড়ি
প্রাইভেট পড়ে শিখে নিবি।
অটো পাস সার্টিফিকেট
পেয়েই যাবি অটোমেটিক।
নরখাদক করোনা
তোর কি হয় না করুণা।
মানুষ মেরে কী লাভ তোর
রক্ত খাস ক্যান চশমখোর।
তোর বিরুদ্ধে আমার লড়াই
করিস নাতো আর বড়াই।
দম আটকে মরছি ঘরে
এবার খুলবো জগতটারে।
ভ্যাকসিন দিয়ে পুড়াবো তোরে
চার হাত পা বেঁধে তোরে।
তোর জ¦ালাতন সইতে নারি
দেখবি আর কী করতে পারি।
বাড়াবাড়ি বন্ধ কর
নইলে তোর নেই নিস্তার।
ধর করোনারে ধর
হাসপাতাল ঘেরাও কর।
উঁচিয়ে লাঠি বাজিয়ে বাঁশী
করোনারে ধাওয়া কর।
ধরে ধরে ব্যাগে পুরে
ইনজেকশনে ধ্বংস ক’রে।
করোনামুক্ত জীবন গড়ি
লক ডাউন ফেলে চলি ফিরি।