অনলাইন ডেস্ক :
নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ৪৪টি। এর বাইরে অনিবন্ধিত দল আছে অর্ধশতাধিক। সব মিলিয়ে বাংলাদেশে প্রায় শতাধিক রাজনৈতিক রয়েছে। কিন্তু করোনাভাইরাসের মহামারিতে অসহায় মানুষের পাশে নেই এদের বেশির ভাগ। এখন পর্যন্ত মানুষকে খাদ্য সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি ও কয়েকটি বামপন্থী দল। এর বাইরে অধিকাংশ রাজনৈতিক দলের অসহায় মানুষের কল্যাণে কোনও কর্মসূচিই নেই। দলগুলো নেতারা বলেছেন, এই মুহূর্তে একটি মাত্র কাজ হচ্ছে দুস্থ-অসহায় মানুষদের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করা। আর এই কাজটি করার দায়িত্ব হচ্ছে সরকারের। এরপর অর্থনৈতিকভাবে শক্তিশালী দলগুলো মানুষের পাশে দাঁড়াবে। আর বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যেসব দলগুলো ছিল তারাই একমাত্র অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী। এরপর অন্যদলগুলো তাদের আর্থিক অবস্থা অনুযায়ী কাজ করার চেষ্টা করছে। তবে তা প্রয়োজনের তুলনায় একেবারেই অপ্রতুল।
নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বড় একটি অংশকে করোনা মহামহারিতে মানুষের পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি। দলগুলোর নেতারা বলছেন, তাদের দল রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় ছিল না। দলের আর্থিক অবস্থাও ভালো না। ফলে ব্যক্তি উদ্যেগে যাদের সামর্থ্য আছে তারা কেউ কেউ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন।
ত্রাণ বিতরণে নিষ্ক্রিয় দলগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- প্রগতিশীল গণতান্ত্রিক দল (পিডিপি), বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস্ পার্টি (এনপিপি), গণফ্রন্ট, বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা), বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক মুক্তিজোট (মুক্তিজোট), বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল),কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্ট (বিএনএফ), বাংলাদেশ কংগ্রেস, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ। এইদলগুলো কোনও ত্রাণ কার্যক্রম চোখে পড়েনি। এমনকি অন্যান্য দলগুলো ত্রাণ বিতরণ প্রেস রিলিজ দেওয়া হলেও এই দলগুলো এখন পর্যন্ত তা দেয়নি।
বিএমএল ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জুলফিকার বুলবুল বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের দল রাষ্ট্রক্ষমতায় নেই প্রায় ৫০ বছর। সেই অনুযায়ী অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানোর কতটুকু সক্ষমতা আমাদের রয়েছে সেটাও বিবেচনার বিষয়। এরপরও আমি নিজ তহবিল থেকে আমার এলাকা চট্টগ্রামে নিজের দলীয় কিছু নেতাকর্মী ও এলাকার একেবারে দুস্থদের কিছু সাহায্য করেছি। সেটা যে ব্যাপক আকারে তা বলা সম্ভব নয়। এছাড়া আমার দলের চেয়ারম্যান ময়মনহিংসে তার এলাকায় ত্রাণ দিয়েছেন।’