হোম অর্থ ও বাণিজ্য কমেছে মুরগি ও ডিমের দাম

অর্থ ও বাণিজ্য

এক মাসেরও বেশি সময় কেজিতে ৭০-৮০ টাকা বাড়ার পর অবশেষে কমতে শুরু করেছে ব্রয়লার মুরগির দাম। কেজিতে মুরগির দাম কমেছে ১০ থেকে ১৫ টাকা। সেই সঙ্গে কমেছে ডিমের দামও। তবে বাজারে চলমান চিনির সংকটের মধ্যেই আবারও বাড়তে শুরু করেছে খোলা সয়াবিন ও পামতেলের দাম।

শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সরেজমিনে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে এ চিত্র দেখা যায়।

বাজারে গিয়ে দেখা যায়, সপ্তাহ ব্যবধানে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা কমে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। গত মাসের শেষ দিকেও প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হয় ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়। এদিকে ডজনে ১০ টাকা কমেছে ডিমের দাম।

বিক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে ২৩৫ টাকা বিক্রি করলেও চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২২০ থেকে ২২৫ টাকায়। আর লাল ডিমের ডজন ১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

যদিও উচ্চমূল্যের কারণে দাম কমতির এই খবর কোনো স্বস্তিই দিতে পারছে না ভোক্তাদের। তারা বলছেন, বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। এতে সংসার চালানো কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

বাজারে চলমান চিনির সংকটের মধ্যেই আবার ঊর্ধ্বমুখী খোলা সয়াবিন ও পামতেলের দাম। তবে বাজারে সব পণ্যের বিক্রিই কমেছে বলে জানান বিক্রেতারা।

তারা বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে ড্রাম প্রতি সয়াবিন ও পাম তেলের দাম বেড়েছে ২০০ টাকা। আর ক্রেতারা বলছেন, গত সপ্তাহে পাম তেল ১১৫ টাকা লিটার কিনলেও এখন কিনতে হচ্ছে ১২০ টাকায়।

এদিকে সবজির বাজারে বেশ খানিকটা দাম কমের দাবি করা বিক্রেতাদের সঙ্গে একমত নয় ক্রেতারা। তাদের দাবি, সাপ্তাহিক ছুটির দিনে দাম বাড়িয়ে দেন ব্যবসায়ীরা।

ক্রেতারা বলেন, শুক্রবার এলেই বিক্রেতারা দাম বাড়ানোর প্রতিযোগিতায় নামে। এতে সরকারের নজরদারি বাড়নোর তাগিদ দেন তারা। তবে বিক্রেতাদের দাবি সবজির দাম কেজিতে ১০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত কমেছে।

এদিকে বাজারে বেড়েছে গরুর মাংসের দাম। কেজি প্রতি ৭৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েক সপ্তাহ আগে বিক্রি হতো ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায়। তবে স্থিতিশীল রয়েছে চালের বাজার।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন