হোম Uncategorized কনডেম সেল থেকে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মিন্নি

কনডেম সেল থেকে মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মিন্নি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 110 ভিউজ

সংকল্প ডেস্ক:

বহুল আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। তবে মিন্নিসহ ছয় আসামির সবাই মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। কারাবিধি অনুযায়ী তাঁদের দেওয়া হয়েছে থালা, বাটি, কম্বল ও দুই সেট জামাকাপড়। এর মধ্যে আজ বৃহস্পতিবার সকালে কারাগার থেকে মায়ের সঙ্গে ফোনে পাঁচ মিনিট কথা বলেছেন মিন্নি।

এ বিষয়ে বরগুনা জেল সুপার মো. আনোয়ার হোসেন আজ সকাল ১০টার দিকে এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘কারাগারের যে বিশেষ কক্ষে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের রাখা হয়, সেটাকে কনডেম সেল বলে। কনডেম সেলের বন্দিরা কখনো সেল থেকে বাইরে বের হতে পারেন না। এসব বন্দি মাসে একবার তাঁদের স্বজনদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন। এ ছাড়া সপ্তাহে একবার তাঁরা ফোনে স্বজনদের সঙ্গে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কথা বলতে পারেন। সে হিসেবে আজ সকালে মিন্নি তাঁর মা-বাবার সঙ্গে ফোনে পাঁচ মিনিট কথা বলেছেন।’

এ বিষয়ে মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘মিন্নির সঙ্গে সকালে আমি ও তাঁর মা কথা বলেছি। আমার মেয়েটা খুবই বিধ্বস্ত। আমরা রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করব।’

বরগুনা জেল সুপার আনোয়ার হোসেন জানান, বরগুনার কারাগারে নারী বন্দিদের মধ্যে একমাত্র মিন্নিই কনডেম সেলের আসামি। তাঁকে রাখা হয়েছে নারী ওয়ার্ডের কনডেম সেলে। এ ছাড়া রিফাত হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া অপর পাঁচ পুরুষ আসামিকেও কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই পাঁচ পুরুষ বন্দি ছাড়া বরগুনার কারাগারের কনডেম সেলে আর কোনো পুরুষ বন্দি নেই বলে উল্লেখ করেন জেল সুপার।

জেল সুপার বলেন, ‘কারাবিধি অনুযায়ী ছয় বন্দিকেই কনডেম সেলে থালা, বাটি ও কম্বল দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রতি আসামিকে কারাগারের পক্ষ থেকে দুই সেট পোশাক দেওয়া হয়েছে। এ পোশাক তাঁরা পরিধান করবেন। এবং নিয়মিত আসামিরা যে খাবার গ্রহণ করেন, সেটা তাঁদের দেওয়া হচ্ছে।’

মিন্নিসহ এই মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে দেশের অন্য কোনো কারাগারে স্থানান্তরের পরিকল্পনা আছে কিনা জানতে চাইলে জেল সুপার আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘এ বিষয়টি আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে তাঁদের নির্দেশনা অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করব। আপাতত এই আসামিদের উচ্চ আদালতে আপিল করার জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে।’

রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া আসামিরা হলেন রাকিবুল হাসান রিফাত ওরফে রিফাত ফরাজী (২৩), আল কাইয়ুম ওরফে রাব্বি আকন (২১), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (১৯), মো. রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২২), মো. হাসান (১৯) ও আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (১৯)। অন্যদিকে খালাস পেয়েছেন মো. মুসা (২২), রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২০), মো. সাগর (১৯) ও কামরুল হাসান সাইমুন (২১)। আসামিদের মধ্যে আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হাইকোর্ট থেকে জামিনে ছিলেন। আর আসামি মো. মুসা হত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক।

সূত্রঃ এন টিভি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন