স্পোর্টস ডেস্ক:
বাংলাদেশের দেয়া ৩০৭ রানের লক্ষ্যে নেমে শুরুতেই ট্রাভিস হেডের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। তবে চাপে পড়া তো দূরের কথা, দ্বিতীয় উইকেটে ১২০ রানের জুটি গড়ে উল্টো বাংলাদেশকেই চাপে ফেলে দেন ডেভিড ওয়ার্নার এবং মিচেল মার্শ। ফর্মে থাকা ওয়ার্নারকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন মুস্তাফিজুর রহমান।
অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ২৩ তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে মিড অনে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন ওয়ার্নার। ৬১ বলে ৬ চারে ৫৩ রান করে সাজঘরে ফিরেছেন ওয়ার্নার।
এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ২৩ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৯ রান। জয়ের জন্য অজিদের দরকার ২৭ ওভারে ১৬৮ রান। ৬৮ বলে ৭৮ রান করে অপরাজিত আছেন মিচেল মার্শ। তাকে সঙ্গ দিচ্ছেন স্টিভেন স্মিথ।
এর আগে নির্ধারিত ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩০৬ রান করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে টাইগারদের সংগ্রহটা দাঁড়ায় ৬২। পাওয়ার প্লে শেষে আগ্রসী ব্যাটিং শুরু করেন তামিম। মার্শের ওভারে টানা ২টি চার মারেন তিনি। ওই ওভারে আসে ১৩ রান। ৩৩ বলে তামিম তুলে নেন ৩৬ রান। পরের ওভারেই শন অ্যাবোটের বলে সহজ ক্যাচ তুলে দেন তিনি। দৌড়ে গিয়ে তামিমের ক্যাচ নিজেই ধরেন অ্যাবোট।
তামিমের মতো লিটনও থামেন ৩৬ রানে। এরপর নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে বাংলাদেশের রানের চাকা। ২৫ ওভার পূর্ণ হওয়ার আগেই দেড়শ তুলে নেয় টাইগাররা। ভুল কলে ডাবল নিতে গিয়ে রানআউট হন শান্ত। ৬৪ রানে ভাঙে তাদের জুটি। শন অ্যাবোটের করা বলকে শর্টের দিকে ঠেলে এক রান নেন শান্ত। এক রান পূর্ণ করে ডাবল নেয়ার জন্য দৌড়েন দুই টাইগার ব্যাটার। ফিফটির আক্ষেপ নিয়ে স্ট্রাইকপ্রান্তেই রানআউট হন বাংলাদেশ ক্যাপ্টেন। ৫৭ বলে ৪৫ রান করেন তিনি।
এরপর হৃদয়কে সঙ্গ দিয়ে ২৮ বলে ৩২ রান করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাকে রানআউট করেন লাবুশেন। ২৪ বলে মুশফিকুর রহিম করেন ২১ রান। সেঞ্চুরির দিকে দৌড়াচ্ছিলেন হৃদয়। তবে মার্কাস স্টোইনিসের বলে বাউন্ডারি মারতে গিয়ে লাবুশেনের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৭৯ বলে ৭৪ রান করতে ৫টি চার ও ২টি ছয় হাঁকান হৃদয়। শেষ দিকে মেহেদী হাসান মিরাজ ২০ বলে ২৯, নাসুম আহমেদ ৭ ও শেখ মেহেদী ২ রান করেন।