হোম আন্তর্জাতিক ওয়াগনারের বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বের ফাটল তুলে ধরেছে: যুক্তরাষ্ট্র

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনার গ্রুপ ও এর প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহ রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের কর্তৃত্বের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছিল বলে মন্তব্য করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেন, ওয়াগনারের এই বিদ্রোহ পুতিনের কর্তৃত্বে যে ফাটল রয়েছে, তা তুলে ধরেছে।

রোববার (২৫ জুন) যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের টকশো ‘ফেস দ্য নেশন’-এ অংশ নিয়ে তিনি এ কথা বলেন।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, শনিবার (২৪ জুন) ওয়াগনার গ্রুপের যেসব সদস্য বিদ্রোহ করেছিলেন, তাদের ভবিষ্যৎ কী হবে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না।

শনিবার বিভিন্ন মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানানো হয়, রাশিয়ার ভাড়াটে বাহিনী ওয়াগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনের বিদ্রোহের প্রস্তুতির বিষয়টি আগেই জানতে পেরেছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দারা।

মার্কিন গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করার জন্য প্রিগোজিন যে প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন, তার আলামত কয়েক দিন আগেই জানতে পেরেছিল যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো।

প্রিগোজিনের বিদ্রোহের প্রস্তুতির আলামত শনাক্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাশিয়ায় সম্ভাব্য অস্থিরতার বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা কর্মকর্তারা হোয়াইট হাউস, পেন্টাগন ও কংগ্রেসকে এ ব্যাপারে ব্রিফিং করেন। দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট ও দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

ওয়াশিংটন পোস্ট বলছে, রুশ সামরিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যে প্রিগোজিন অগ্রসর হতে চান, এই আলামত মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলো চলতি মাসের মাঝামাঝি জানতে পারে।

নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, প্রিগোজিনের উদ্দেশ্যের বিষয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর পাওয়া তথ্যগুলো একই সঙ্গে নির্ভরযোগ্য ও উদ্বেগজনক ছিল। এ কারণে তারা মার্কিন সরকার ও সেনাবাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের এ বিষয়ে গত বুধবার (২১ জুন) ব্রিফ করেন।

শুক্রবার (২৩ জুন) অনেকটা আকস্মিকভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেন প্রিগোজিন। একাধিক টেলিগ্রাম বার্তায় ৬২ বছর বয়সী প্রিগোজিন বলেন, তার যোদ্ধারা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু করেছে। তবে এটাকে তিনি অভ্যুত্থান বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের পৃষ্ঠপোষকতায় গড়ে উঠেছিল ওয়াগনার গ্রুপ। আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে রাশিয়ার সমর্থনপুষ্ট সরকারের পক্ষে ভাড়ায় নিয়োজিত রয়েছেন এই বাহিনীর সদস্যরা। ২০১৪ সালে রাশিয়া যখন ইউক্রেনের ক্রিমিয়া উপদ্বীপ দখল করে, সে সময় ওই সামরিক তৎপরতায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আত্মপ্রকাশ করে ওয়াগনার গ্রুপ।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে বিশেষ সামরিক অভিযান শুরু করার পর আবার এই যুদ্ধে ভাড়াটে ওই বাহিনীকে কাজে লাগান পুতিন। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় বাখমুত এলাকায় ইউক্রেন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছিল তারা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন