আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ওয়াগনার প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোজিনকে রাশিয়া হত্যার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে ইউক্রেন। রাশিয়ার কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি-কে এই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলেও দাবি কিয়েভের।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, দ্য ওয়ার জোন সাময়িকীর সাংবাদিক হাওয়ার্ড অল্টম্যানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এমন তথ্য দিয়েছেন ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান কিরিলো বুদানভ।
তিনি দাবি করেছেন, তারা জানতে পেরেছেন যে, প্রিগোজিনকে হত্যা করার দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এফএসবি-কে। তারা এই কাজে সফল হতে পারবে কিনা, ভবিষ্যতে সেটা দেখা যাবে।
সম্প্রতি রাশিয়ার বিরুদ্ধে আকস্মিক বিদ্রোহ ঘোষণার পর থেকেই আলোচনায় ভাড়াটে সেনা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ওয়াগনার। বিশ্বাসঘাতকতা করে রুশ প্রেসিডেন্টকে ক্ষমতাচ্যুত করতে চাওয়ার হুমকিকে মোটেও ভালো চোখে দেখছেন না রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
রাশিয়ার রাজনৈতিক মহলে প্রচলিত আছে-বিশ্বাসঘাতকদের কখনোই ছাড় দেন না পুতিন। এসব নিয়েই যখন আলোচনা-সমালোচনা তুঙ্গে, তখনই বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কো জানান, বিদ্রোহ ঘোষণার পর রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন ওয়াগনার প্রধানকে নিশ্চিহ্নের পরিকল্পনা করেছিলেন। যদিও লুকাশেঙ্কোর পরামর্শেই পরে মত বদলান পুতিন।
রাশিয়ায় ব্যর্থ বিদ্রোহের পর বেলারুশে পাড়ি জমিয়েছে ওয়াগনার গ্রুপ। দেশটিতে পৌঁছেই সেখানে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের পরিকল্পনা করছে গোষ্ঠীটি। বেলারুশের রাজধানী মিনস্কের দক্ষিণ-পূর্ব দিকে সামরিক ঘাঁটি নির্মাণের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম। যদিও, ওয়াগনারকে আপাতত বেলারুশ সেনাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট লুকাশেঙ্কো।
এদিকে, ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে এখনও অব্যাহত রয়েছে রুশ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা। তবে রুশ হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেন নিষিদ্ধ মাইন ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ তুলেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
যদিও চলমান যুদ্ধে রুশ সেনাদের ওপর আক্রমণ চালাতে ইউক্রেনের ভান্ডারে পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ নেই বলে জানিয়েছে দেশটির সামরিক বাহিনী। এতে ক্ষোভ জানিয়ে অবিলম্বে পর্যাপ্ত অস্ত্র সরবরাহে ইউক্রেন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির প্রধান সামরিক কমান্ডার।