রাজনীতি ডেস্ক:
আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বাংলাদেশের ভেতরে ষড়যন্ত্র মানে ঘরের ভেতরে ষড়যন্ত্র, আমার বুকের ভেতর ষড়যন্ত্র। এ বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামায়াত ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে আখাউড়া উপজেলার কর্মমঠ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ওনাদের এক নেতা আছে, নেতা না ফেতা আমি জানি না। লন্ডনে বসে হুকুম দেয় আপনাদের ধ্বংস করে দেয়ার জন্য। এসব হুকুমে আপনারা ভয়ে পাবেন না। আমাদেরকে সারা বিশ্বের কাছে প্রমাণ করতে হবে যে জনগণ নির্বাচন চায়। তাই আপনাদের কাছে আমার দাবি, আগামী ৭ জানুয়ারি যে নির্বাচন হবে সেখানে আপনারা প্রত্যেকে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন।’
মন্ত্রী আরও বলেন, ‘১৯৭৫ সাল থেকে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন পর্যন্ত বাংলাদেশে হত্যাযজ্ঞ আর দুঃশাসনের লীলাখেলা চলেছিল। নির্বাচনের নামে প্রহসন হয়েছে। মানুষকে অকাতরে বিনা বিচারে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। লাশটা পর্যন্ত পরিবারের কাছে ফিরিয়ে দেয়া হয়নি। আমরা দেখেছি কেউ যদি কোনো কথা বলতো তাকে জেলে ভরে দিতো। বঙ্গবন্ধুর নাম এ দেশ থেকে মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছিল। রাজাকার আলবদরদের প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী বানানো হয়েছিল। বাংলাদেশের মানুষের ওপর যারা অত্যাচার করেছে তাদেরকে পুনর্বাসন করা হয়েছিল।’
আনিসুল হক বলেন, ‘গত ২০১৪ সালে বিএনপি-জামায়াত অগ্নিসন্ত্রাস করেছে আপনাদের ভোট দিতে বিরত করেছে। কিন্তু আপনারা ভয় পেয়েছেন, তবু ভোট দিয়েছেন। ভোট দিয়ে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নির্বাচিত করেছিলেন। গত ২০১৮ সালে নির্বাচনে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করেছে। তখন বিএনপির স্লোগান ছিল, আমরা যখন রাজপথে টাকা কেন লন্ডনে।’
আনিসুল হক বলেন, ‘যখন ২০২৪ সালের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেছে, তখন থেকে বিএনপি আবারও হত্যাযজ্ঞ শুরু করেছে। আমি বাংলার মানুষের মুখপাত্র হিসেবে বলতে চাই, যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছেন, তারা সাবধান হয়ে যান। যারা এই হরতাল অবরোধ অসহযোগ ডেকেছেন তারা সাবধান হয়ে যান। এই দেশে আইন আছে। এই দেশে আইনের শাসন আছে। আপনারা যা করছেন তা রাষ্ট্রদোহী। আগামী ২০২৪ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে আবারও বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়বে।’
সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, আখাউড়া পৌরসভার মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাকজিল খলিফা কাজল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী চৌধুরী, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাহবুবুল আলম চৌধুরী দীপক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।