হোম অন্যান্য এয়ারবাস নিয়ে সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে: জার্মান রাষ্ট্রদূত

এয়ারবাস নিয়ে সিদ্ধান্ত বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব পড়তে পারে: জার্মান রাষ্ট্রদূত

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 50 ভিউজ

নিউজ ডেস্ক:
এয়ারবাস ক্রয়ের সঙ্গে বাংলাদেশের সাথে বাণিজ্যিক প্রভাব জড়িত বলে মনে করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জার্মান রাষ্ট্রদূত ড. রুডিগার লোটজ। তিনি বলেন, এয়ারবাস নিয়ে সিদ্ধান্ত বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলতে পারে।

বুধবার (২৬ নভেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিক্যাব) আয়োজিত অনুষ্ঠান ‘ডিক্যাব টকে’ এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান জার্মান রাষ্ট্রদূত।

এয়ারবাস কেনা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে, এর প্রভাব আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্কের ওপর পড়বে কিনা- জানতে জানতে চাইলে রুডিগার লোটজ বলেন, ‘অবশ্যই পড়বে। আমরা বাংলাদেশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক অংশীদার এবং এতদিন যেভাবে আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখা হয়েছে, আমরা চাই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কেও সেই ধারাবাহিকতা বজায় থাকুক। ব্যবসায়ে টেকসই সম্পর্ক খুব জরুরি।’

তিনি বলেন, ‘অবশ্য এটি বাংলাদেশের স্বাধীন সিদ্ধান্ত। কিন্তু ব্যক্তিগত বা ব্যবসায়িক জীবনে যেমন হয়, প্রতিটি সিদ্ধান্তেরই সামগ্রিক পরিবেশ ও মনোভাবের ওপর কিছু না কিছু প্রভাব পড়ে। আমরা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রাখবো, কারণ এটি দুপক্ষেরই স্বার্থে। তবে আপনি যদি জানতে চান যে এর কোনও প্রভাব পড়বে কি না—কিছুটা প্রভাব অবশ্যই পড়বে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এয়ারবাস অসাধারণ পণ্য তৈরি করে। আমি তাদের প্রতিনিধি নই, তবে আমি মনে করি এভিয়েশনের বাজার সম্প্রসারণে এটি একটি সেরা পছন্দ হতে পারে।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘এর পেছনে আরও কিছু বিষয় আছে। যেমন জিএসপি সংক্রান্ত আলোচনা-এগুলো কাউকে হুমকি দেওয়ার বিষয় নয়, মোটেও না। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক সম্পর্কের সঙ্গে যুক্ত সিদ্ধান্তগুলো আংশিকভাবে এ ধরনের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে। তাই জিএসপি প্লাস আলোচনার অগ্রগতি বা সিদ্ধান্ত, এয়ারবাস নিয়ে বাংলাদেশের সিদ্ধান্তকে ঘিরে সামগ্রিক পরিবেশে প্রভাব ফেলে।’

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার সময় আরও কমিয়ে আনার কথা বলেন রাষ্ট্রদূত। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের ভিসার বিষয়টি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ। অনেক শিক্ষার্থী জার্মানিতে পড়তে যেতে চায়। আমরা চেষ্টা করছি, কীভাবে ভিসা দেওয়ার সময়টাকে কমিয়ে আনা যায়। অপরদিকে, বাংলাদিশি ভিসা প্রার্থী আছে তাদের কাছে আমরা সহযোগিতা চাই।’

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমাদের চাওয়া ভিসা প্রত্যাশীরা সঠিক তথ্য দিক। কারণ, অনেক সময় তারা জাল কাগজপত্র দেন, যার ফলে আমাদের যারা ভিসা দেন তাদের এসব যাচাই-বাছাই করতে অনেক সময় লাগে। অনেক শিক্ষার্থী আছেন যারা সঠিক কাগজ দেন। কিন্তু যারা জাল কাগজপত্র দেন তাদের কারণে অন্যরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তখন ভিসা প্রাপ্তির সুযোগ সীমিত হয়ে আসে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন