হোম আন্তর্জাতিক এবার বিয়ের জন্য ইমরান খান ও বুশরা বিবির ৭ বছর কারাদণ্ড

এবার বিয়ের জন্য ইমরান খান ও বুশরা বিবির ৭ বছর কারাদণ্ড

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 65 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

এবার বিয়ের কারণে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) নেতা ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ৭ বছর কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে করা হয়েছে জরিমানাও।

বিয়ে আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে তাদের এ শাস্তি দেয়া হলো। এর আগে তোশাখানা মামলায় উভয়কে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়।

জাতীয় নির্বাচনের মাত্র পাঁচ দিন আগে শনিবার (৩ ফেব্রুয়ারি) এই রায় দিয়েছে পাকিস্তানের একটি আদালত। রায়ে বলা হয়েছে, ২০১৮ সালে বুশরা বিবির সাথে ইমরান খানের হওয়া বিয়েতে আইন লঙ্ঘন হয়েছে।

চলতি সপ্তাহে আদালতের পক্ষ থেকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে এটা তৃতীয় কোনো রায়। ৭১ বছর বয়সী পিটিআই নেতা এখন কারাগারে রয়েছেন। ফলে তিনি আসন্ন নির্বাচনে অংশ নিতে পারছেন না।

নির্বাচন সামনে করে রাষ্ট্রীয় গোপন নথি প্রকাশ করার অভিযোগে করা মামলায় তাকে ও তার বিশ্বস্ত সহযোগী সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।

গত ৩০ জানুয়ারি আদিয়ালা কারাগারে দুই নেতার উপস্থিতিতে দফতর গোপনীয়তা আইনে গঠিত বিশেষ আদালতের বিচারক আবুল হাসনাত জুলকারনাইন এ রায় ঘোষণা দেন।

পরদিন ৩১ জানুয়ারি রাষ্ট্রীয় উপহার বিক্রির অভিযোগে (তোশাখানা মামলা) ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ইসলামাবাদের জবাবদিহিতা আদালতের (অ্যাকাউন্টিবিলিটি কোর্ট) বিচারক মুহাম্মদ বশির এ রায় দেন।

তিনদিন পর দেয়া হলো বিয়ে সম্পর্কিত মামলার রায়। রায়ে ইমরান ও তার স্ত্রী বুশরাকে সাত বছর করে কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে।

২০১৮ সালের জানুয়ারি মাসে বুশরা বিবিকে বিয়ে করেন ইমরান খান। এটা তার তৃতীয় বিয়ে। নির্বাচনে বড় জয় ও প্রধানমন্ত্রী হওয়ার মাত্র সাত মাস আগে অনেকটা গোপনে এক পারিবারিক অনুষ্ঠানে ইমরান খান ও বুশরা বিবির বিয়ে হয়।

এরপর গত ছয় বছর ধরে সংসার করছেন এই দম্পতি। এতদিন পর সম্প্রতি নির্বাচন সামনে করে ইমরান খান ও বুশরার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন বুশরা বিবির সাবেক স্বামী খাওয়ার ফরিদ মানেকা। তার অভিযোগ, বুশরা বিবি ইদ্দত পালন করেননি এবং ইদ্দত পালন না করেই বিয়ে করার মাধ্যমে তারা ‘ব্যভিচার’ করেছেন।

ইসলামি শরিয়া আইন অনুসারে, স্ত্রীর তালাক হলে বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে যে নির্দিষ্ট সময়ের জন্য স্ত্রীকে এক বাড়িতে থাকতে হয় কিংবা তিনি অন্য কোথাও যেতে পারেন না বা অন্য কোথাও বিয়ে করতে পারেন না; সেই সময়কালকে ‘ইদ্দত’ বলা হয়।

তবে এই অভিযোগ দুজনই নাকচ করে দিয়েছেন। এরপরও মামলা চলে এবং গত মাসে এর শুনানি শুরু হয়। গত ১৬ জানুয়ারি রাওয়ালপিন্ডির আদিয়ালা কারাগারে বিশেষ ব্যবস্থায় কারাবন্দী ইমরান খানকে উপস্থিত রেখে এই মামলার অভিযোগ গঠন করেন বিচারক। তবে স্বাস্থ্যগত কারণে বুশরা বিবি উপস্থিত ছিলেন না।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন