বাণিজ্য ডেস্ক:
এবারের শারদীয় দুর্গোৎসবের অর্থনীতৈক লেনদেন হবে প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার কোটি টাকা। প্রতিমা গড়া, মণ্ডপ তৈরি থেকে সাজানো, এমনকি উৎসব উদযাপনের জন্য নিজস্ব সাজসজ্জা থেকে শুরু করে নানা বিষয়ে এই পরিমাণ টাকা হাতবদল হয়েছে।
বছরের পাঁচ দিন বাপের বাড়িতে থাকবেন দেবী দুর্গা। এই নিয়ে মর্ত্যলোকে তোড়জোড় । মাকে সাজাচ্ছেন, নিজেরা সাজছেন। আর এই সাজসজ্জা কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ৩২ হাজার ৪৬০ টি এবং রাজধানীতে ২৪৩ টি মণ্ডপে উদযাপিত হচ্ছে শারদীয় দুর্গোৎসব।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে বিবাহিত নারীদের নিয়ম করে প্রতিবছর পাল্টে নিতে হয় হাতের শাখা। পূজা উপলক্ষে চাহিদা বাড়ে নতুন সিঁদুরেরও। আর নতুন কাপড় তো রয়েছেই । নিজের জন্যে এমন কী অন্যকে উপহার দেওয়ার জন্যেও পূজা উপলক্ষ্যে অনেকেই কিনেছেন নতুন পোশাক।
এ ব্যাপারে সনাতন ধর্মালম্বী নারীরা বলছেন, দুর্গা যেমনি প্রতি বছর নতুন রূপে আসেন, তেমনি সেই নতুনত্বকে ধরে রেখে আমরাও নতুন রূপে সাজি। এই সাজসজ্জার অংশ হিসেবেই নতুন সিঁদুর, শাখা, আলতা, শাড়ি কেনার ধুম লেগে যায় পূজার সময়।
বিক্রেতারাও বলছেন, শাখা-সিঁদুরের বাজার দূর্গাপূজা আসলেই হয় জমজমাট। পূজা উপলক্ষে কাপড়ের ব্যবসায়ীরাও খুশি বেচাকেনা বাড়ায়।
এদিকে, আলোকসজ্জাসহ, সার্বিক সজ্জা, প্রসাদ ও খাবার এবং পুরোহিতের সম্মানীসহ প্রতিটি মন্ডপের আয়োজনেও ব্যয় কয়েক হাজার থেকে কয়েক লাখ টাকা।
প্রতিবছর দুর্গাপুজাকে ঘিরে চলে কয়েক হাজার কোটি টাকার লেনদেন। এ ব্যাপারে অর্থনীতি বিশ্লেষক মামুন রশীদ সময় সংবাদকে বলেন, গত বছরগুলোর তুলনায় এবারের পূজার বাজারের আকার বেশ বড়। বিভিন্ন জরিপ এবং বিগত সময়ের বাজার পর্যালোচনা করে দেখা যায়, এবারের পূজার বাজারের আকার প্রায় সাড়ে তিন হাজার থেকে চার হাজার কোটি টাকা।
জনসংখ্যার দিক থেকে, ভারত ও নেপালের পরেই বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম হিন্দু জনবহুল দেশ। সে হিসাবে এ অঞ্চলের পূজার বাজারও বৃহৎ বটে।