আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
ভারতের রাষ্ট্রপতি পদের জন্য নিজেদের প্রার্থী এখনো চূড়ান্ত করতে পারেনি দেশটির বিরোধী দলগুলো।
বুধবার দিল্লিতে বিরোধী দলগুলোকে এক মঞ্চে আনার চেষ্টা করেছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধ ভুলে কংগ্রেস ও সিপিএমসহ বাম দলগুলো একত্র হলেও এ ঐক্যকে বয়কট করেছে বিভিন্ন আঞ্চলিক দল। ভারতের প্রবীণ রাজনীতিবিদ শারদ পাওয়ার অথবা জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর নাতির ছেলে ও পশ্চিমবঙ্গের সাবেক রাজ্যপাল গোপাল কৃষ্ণ গান্ধীকে রাষ্ট্রপতি পদপ্রার্থী করার কথা ভাবছিলেন বিরোধীরা। তবে শারদ পাওয়ার এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতি পদে তার প্রার্থী হওয়ার বিষয়টি নাকচ করেছেন। আগামী ১৮ জুলাই ভারতে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনও বেশি দূরে নেই। তার আগে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রতিদিনই নাটকীয় রূপ নিচ্ছে। রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের প্রার্থী ঠিক করতে এরইমধ্যে কাজ শুরু করেছে ক্ষমতাসীন দল বিজেপি।
এ নিয়ে রোববারই (১২ জুন) সমমনা বিভিন্ন দলের সঙ্গে আলোচনার জন্য দলের সভাপতি জেপি নাড্ডা ও দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ নেতা ও সরকারের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এনডিএ জোটের শরিক, ইউপিএ জোটের দলগুলো ও অন্যান্য ছোট দলের সঙ্গে কথা বলছেন তারা।
এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, ১৫তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সামনে রেখে এরইমধ্যে ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি বৈঠক করেছে বিরোধী দলগুলো। ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রার্থী বাছাইয়ের ওপর জোর দিচ্ছেন বিরোধী নেতারা। এসব বৈঠকে সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শরদ পাওয়ারের প্রার্থিতার সম্ভাব্যতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ফলে দিল্লির রাজনৈতিক অঙ্গনে গুঞ্জন শুরু হয়েছে, জুলাইয়ের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত পাওয়ারই বিরোধীদের প্রার্থী হতে পারেন।
কংগ্রেস ইতোমধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে এনসিপি নেতার প্রতি সমর্থন জানিয়েছে বলে জানা গেছে। দলের প্রধান সোনিয়া গান্ধীর নির্দেশে সপ্তাহখানেক ধরে বিরোধী নেতাদের সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মল্লিকর্জুন খাড়গে।
গত বৃহস্পতিবার তিনি প্রথমে পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে সোনিয়া গান্ধীর বার্তা পৌঁছান। শিবসেনা নেতা ও মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে এবং তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্টালিনের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। এছাড়া পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির সঙ্গে ফোনে কথা বলেন খাড়গে।