আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ এখনো ৬০ জন ফিলিস্তিনি নারীকে কারাগারে আটকে রেখেছে। মঙ্গলবার একটি স্থানীয় বেসরকারি সংস্থা জানিয়েছে, তাদের অধিকাংশকেই ৭ অক্টোবরের পর আটক করা হয়েছে বলে ।
আনাদোলুকে প্যালেস্টাইন প্রিজনার্স সোসাইটির (পিপিএস) মিডিয়া অফিসার আমাল সারাহনেহ বলেন, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী ৭ অক্টোবরের পরে অধিকৃত পশ্চিম তীর এবং পূর্ব জেরুজালেমে বড় ধরনের গ্রেপ্তার অভিযান চালিয়েছে।
এসময় ৫৬ ফিলিস্তিনি নারী ও কিশোরীকে আটক করা হয়। এখনও ৩২৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।
সারাহনেহ আরও বলেন, যে ইসরায়েল গত চার দিনে গাজাভিত্তিক প্রতিরোধ গোষ্ঠী হামাসের সাথে বন্দি বিনিময় চুক্তির অধীনে ৩৩ ফিলিস্তিনি নারীকে মুক্তি দিয়েছে।
এর আগে আলজাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, হামাস-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি আরও দুই দিনের জন্য বাড়ানো হয়েছে। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাতার।
কাতারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, গাজা উপত্যকায় আরও দুদিনের জন্য যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। একই শর্ত অনুসারে অস্থায়ী মানবিক এ যুদ্ধবিরতি বাড়ানো হয়েছে। ইসরায়েল এবং হামাসের সাথে মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করেছে কাতার এবং মিসর।
হামাস-ইসরায়েলের চার দিনের যুদ্ধবিরতির শেষ দিন ছিল আজ। স্থানীয় সময় মঙ্গলবার ভোরে শেষ হওয়ার কথা ছিল যুদ্ধবিরতির মেয়াদ। নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন করে যুদ্ধবিরতির সময় আরও ২ দিন বাড়ানো হলো।
এর আগে, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু রোববার জানিয়েছিলেন, উপত্যকায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বাড়াতে তার প্রশাসনের কোনো আপত্তি নেই। তবে, এ জন্য শর্ত বেঁধে দিয়েছেন তিনি। তিনি জানান, এক দিন মেয়াদ বাড়াতে ১০ ইসরায়েলি জিম্মিকে মুক্তি দিতে হবে।