হোম বিনোদন এক রাত হাজতে কাটিয়ে মুক্ত হলেন আল্লু অর্জুন

এক রাত হাজতে কাটিয়ে মুক্ত হলেন আল্লু অর্জুন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 7 ভিউজ

বিনোদন ডেস্ক:
তেলেগু অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দিয়েছে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট। শনিবার (১৪ ডিসেম্বর) সকাল ৬টা ৩৫ মিনিটের দিকে হায়দরাবাদের চঞ্চলগুড়া জেলের পেছনের দরজা দিয়ে বেরিয়ে আসতে দেখা যায় তাকে।

পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, অভিনেতা আল্লু অর্জুনকে জেলগেট থেকে নিতে তারা বাবা আল্লু অরবিন্দ এবং শ্বশুর কাঞ্চরলা চন্দ্রশেখর রেড্ডি আসেন। পরে তাদের সঙ্গে অভিনেতার জুবিলি হিল্‌সের বাড়িতে যান।

আল্লু অর্জুনের আইনজীবী অশোক রেড্ডি বলেছেন, অভিনেতা আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তার ‘অবৈধ আটক’ ছিল। কারণ শুক্রবার তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট থেকে আদেশের অনুলিপি পাওয়ার পরেও জেল কর্তৃপক্ষ তাকে মুক্তি দেয়নি। তাদের জবাব দিতে হবে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেব।

এদিকে আদালত বলেছে, ‘শুধু একজন অভিনেতা বলে তাকে এভাবে আটক করা যাবে না।’ অভিনেতাকে নিয়মিত জামিনের জন্য নিম্ন আদালতে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেন।

অন্যদিকে আল্লু অর্জুনকে গ্রেপ্তার করার কয়েক ঘণ্টা পরে, নিহত নারীর স্বামী মামলা প্রত্যাহার করার কথা জানান। তিনি বলেছেন, আমি মামলা প্রত্যাহার করতে প্রস্তুত। আমি গ্রেপ্তারের বিষয়ে অবগত ছিলাম না। আমার স্ত্রী পদদলিত হয়ে মারা যাওয়ার সঙ্গে আল্লু অর্জুনের কোনো সম্পর্ক নেই।

এদিকে বেশ কিছু রাজনীতিবিদ এবং চলচ্চিত্র শিল্পের লোকেরা আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারের ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন।

প্রদেশটির বিআরএস নেতা কেটি রামা রাও বলেছেন, ‘আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় সরকার তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সরকারকে আঘাত করা হয়েছে। আমি তীব্র নিন্দা জানাই সরকারের এই রকম আচরণের জন্য।’

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এক্সে লিখেছেন, আল্লু অর্জুনের গ্রেপ্তারে প্রমাণ করে- সন্ধ্যা থিয়েটারে দুর্ঘটনাটি রাজ্য এবং স্থানীয় প্রশাসনের দুর্বল ব্যবস্থার একটি চিত্র ফুটে উঠেছে। তেলেঙ্গানা সরকারের উচিত ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা করা। আর চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্বদের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ না করে, দোষী ব্যক্তিদের শাস্তি দেওয়া।

‘পুষ্পা ২’ ছবির প্রিমিয়ারে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ৩৯ বছর বয়সী এক নারীর। এই ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় গতকাল শুক্রবার হায়দরাবাদের তার জুবিলি হিলসের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন। পরে দেশটির একটি নিম্ন আদালত তাকে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়ার আদেশ দেয়। এর কিছুক্ষণ পরে তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট তার স্বাধীনতার অধিকারের কথা উল্লেখ করে চার সপ্তাহের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেয়। এইদিকে এই মামলায় প্রেক্ষাগৃহের মালিক, মহাব্যবস্থাপক ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাপককে গত ৮ ডিসেম্বর গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জামিন দেয়নি আদালত।

সূত্র: এনডিটিভি

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন