অনলাইন ডেস্ক:
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের ইউএনও বৈশাখী বড়ুয়ার করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। গত ২৯ এপ্রিল এই কর্মকর্তার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর কোনও উপসর্গ না থাকায় সন্দেহের ভিত্তিতে ওই দিনই আবারও নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সাত দিনের মাথায় বুধবার তার রিপোর্ট এলো নেগেটিভ।
এ বিষয়ে হাজীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. এস এম শোয়েব আহমেদ চিশতী জানান, ‘প্রথম নমুনার পজিটিভ আসা রিপোর্ট পরীক্ষা করা হয় ঢাকার শিশু হাসপাতালে। এরপর ওই দিনই ম্যাডাম আবারও নমুনা দেন। তা পাঠানো হয় আইইডিসিআরে। সেখান থেকে ইনস্টিটিউট অব পাবলিক হেলথে পাঠানো হয়। আর তার রিপোর্ট এসেছে নেগেটিভ। এরপরও ইউএনও ম্যাডাম হোম আইসোলেশনে আছেন। আবারও নমুনা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী রিপোর্ট নেগেটিভ না আসা পর্যন্ত তিনি হোম আইসোলেশনে থাকবেন।’
হাজীগঞ্জ উপজেলার এসিল্যান্ড জানান, ‘যেহেতু ইউএনও ম্যাডামের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে তাই তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে আছেন। তবে তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ আছেন। তার মধ্যে কোনও ধরনের সমস্যা দেখা যায়নি। এ কারণে তিনি রিপোর্ট পাওয়ার দিনই আবারও ননুমা দিয়েছেন পরীক্ষার জন্য। তিনি সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। আজ ৬ এপ্রিল বুধবার ম্যাডামের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ৫ এপ্রিল মঙ্গলবার তিনি আবারও নমুনা দিয়েছেন। এই নমুনার রিপোর্ট এলে বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বৈশাখী বড়ুয়া বলেন, ‘আমি পুরোপুরি সুস্থ আছি। কোনও ধরনের উপসর্গ আমার মধ্যে দেখিনি। কিন্তু আমার করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর আমি ওইদিনই আবার পরীক্ষার জন্য নমুনা দেই। আজ আইইডিসিআর থেকে রিপোর্ট পেয়ে স্বস্তি পেলাম।’
চাঁদপুরের সিভিল সার্জন ডা. সাখাওয়াত উল্যাহ জানান, ‘উনার পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর গত ১মে আবারও নমুনা পাঠাই। তার রিপোর্ট আজ নেগেটিভ এসেছে। আরেকটি নমুনা পাঠিয়েছি সেটির রিপোর্ট আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে।’
তিনি জানান, পজিটিভ আসার তিন-চারদিন পরও নেগেটিভ আসতে পারে। তাছাড়া উনার এমনিতেও নেগেটিভ হওয়ার সময় হয়ে গেছে।
চাঁদপুর জেলা লকডাউন ঘোষণার পর হাজীগঞ্জ উপজেলাকে করোনামুক্ত রাখতে জনসচেতনতা ও লকডাউন কার্যকর করতে দিন-রাত মাঠে কাজ করেছেন ইউএনও।