দেবহাটা প্রতিনিধি :
দেবহাটায় বিয়ে করে নতুন সংসার পাতানোর একমাসের মধ্যেই পারিবারিক কলহের জের ধরে আশিক মন্ডল (২২) নামের এক যুবক আত্মহত্যা করেছেন। সোমবার দুপুরে উপজেলার কুলিয়া পাটনীপাড়া ঈদগাহের বটগাছের ডালের সাথে গলায় রশি দিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করেন তিনি। আশিক মন্ডল পাটনীপাড়া এলাকার গফুর মন্ডলের ছেলে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এলাকাবাসী জানায়, প্রায় একমাস আগে পাশ্ববর্তী গুচ্ছগ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে জেসমিন’র (১৮) সাথে বিয়ে হয় আশিকের। বিয়ের পর থেকে স্ত্রী জেসমিনের প্রতি আশিকের ভালোবাসার কমতি ছিলনা। এককথায় বউয়ের জন্য প্রায় পাগল ছিল সে। দাম্পত্য জীবনের প্রথম কয়েকদিন তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক থাকলেও গত ৮/১০ দিন আগে জেসমিন তার বাবার বাড়ীতে চলে যায়।
এরপরই তাদের নতুন দাম্পত্য জীবন ভেঙে দিতে ডিভোর্স করানোর কথা তোলে জেসমিনের পরিবার। এতে ব্যাপক মর্মাহত ও আঘাত পায় আশিক। কয়েকদিন ধরে আশিক তার স্ত্রীকে ফেরত এনে দেয়ার জন্য পরিবারের সদস্যদের কাছে আকুতি করে আসছিল। একইসাথে জেসমিনকে না পেলে সে আত্মহত্যা করবে বলেও তার পরিবারকে জানিয়ে আসছিল।
স্থানীয় ইউপি সদস্য রওনাক উল ইসলাম রিপন বলেন, আশিক তার স্ত্রী জেসমিনকে খুব ভালোবাসতো। গেল কয়েকদিন সে তার স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনতে অভিভাবক ও এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিদের কাঝে ধর্ণা দিচ্ছিল। সে সবসময় স্ত্রীর শোকে মনমরা হয়ে থাকতো।
এ নিয়ে সোমবার সকালে বেশ কয়েকজন জেসমিনকে ফিরিয়ে আনতে তার বাবার বাড়িতে গেলে জেসমিনের আত্মীয় স্বজনরা তাদের মেয়েকে আর আশিকের ঘরে ফেরত পাঠাবেনা বলে সাফ জানিয়ে দেয়। সম্ভবত এঘটনার করনেই দুপুর দুটোর দিকে বাড়ির পাশ্ববর্তী ঈদগাহের বটগাছে ঝুলে সে আত্মহত্যা করে।
দেবহাটা থানার ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, স্থানীয়রা বটগাছের সাথে মরদেহটি ঝুলতে দেখে থানায় খবর দিলে পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌছে মরদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।