হোম অন্যান্যস্বাস্থ্য এই ৮ খাবার ডেঙ্গু রোগীদের মহৌষধ

স্বাস্থ্য ডেস্ক:

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি দিন দিন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে। এরই মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১০ হাজার এবং মৃতের সংখ্যা ৬২। সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় আরও একজন মারা গেছেন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৫৮৪ জন।

রাজধানীতে ডেঙ্গু পরিস্থিতি সবচেয়ে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে। সারা দেশে মোট আক্রান্ত রোগীর মধ্যে ঢাকাতেই ৭৪৬৬ জন। এ ছাড়া ঢাকার বাইরে ২৯৮৯ জন। এই অবস্থায় সবাইকে সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সেইসঙ্গে ডেঙ্গু হলে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার পাশাপাশি ডেঙ্গু নিরাময়ে মহৌষধ হিসেবে কাজ করে এমন খাবার খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

যে ৮ খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পুষ্টিবিদরা তা হলো:

পেঁপে পাতা: ডেঙ্গু হলে রক্তের প্লাটিলেট কমতে থাকে। তাই পেঁপে পাতা খেতে হবে। কারণ পেঁপে পাতায় পাপাইন ও কাইমোপাপেনের মতো এনজাইম সমৃদ্ধ, যা হজমে সাহায্য করে এবং প্লাটিলেট বাড়াতে সহায়তা করে।

ডাবের পানি: ডেঙ্গু জ্বরের কারণে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয়। তাই শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে ডাবের পানি পান করলে উপকার পাওয়া যায়। এ ছাড়াও ডাবের পানিতে রয়েছে ইলেকট্রোলাইটসের মতো প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান।

ডালিম: ডালিম পুষ্টি ও খনিজ সমৃদ্ধ ফল। এটি শরীরের ক্লান্তিভাব কমায়। ডালিমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, যা রক্তের জন্য উপকারী। এ ছাড়াও ডালিম প্লাটিলেট কাউন্ট বজায় রাখতে সাহায্য করে।

হলুদ: ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধে হলুদ একটি উপকারী খাদ্য উপকরণ। ১ গ্লাস দুধের সঙ্গে ১ চিমটি হলুদ মিশিয়ে নিয়মিত পান করলে এটি দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করবে।

মেথি: মেথি সহজে ঘুমাতে এবং ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। এটি অতিমাত্রার জ্বর কমিয়ে আনে, যা ডেঙ্গুর একটি সাধারণ লক্ষণ। তবে মেথি খাওয়ার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

কমলা: কমলা ও অন্যান্য ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ ফল ডেঙ্গু জ্বরে অত্যন্ত উপকারী। কমলায় ভিটামিন-সি ছাড়াও রয়েছে অ্যান্টি-অ্যাক্সিডেন্ট, যা ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাহায্য করে।

ব্রকোলি: ব্রকোলি ভিটামিন-কে এর একটি চমৎকার উৎস, যা প্লাটিলেট বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যদি প্লাটিলেট কাউন্ট অতিমাত্রায় কমে যায় তাহলে ডেঙ্গু রোগীর দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় অবশ্যই ব্রকোলি রাখতে হবে।

পালংশাক: পালংশাক আয়রন ও ওমেগা-থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ খাবার, যা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এ ছাড়াও এটি প্লাটিলেট বৃদ্ধিতে সাহায্য করে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ

১। প্রচণ্ড জ্বর

২। তীব্র মাথাব্যথা

৩। বমি

৪। শরীরে লাল র‍্যাশ ওঠা

৫। মাংসপেশিতে ব্যথা

৬। চোখের পেছনে ব্যথা

ডেঙ্গু প্রতিরোধে করণীয়:

১। মশার প্রজননস্থল ধ্বংস করা।

২। ঘর ও আশপাশের যে কোনো পাত্রে বা জায়গায় জমে থাকা পানি পরিষ্কার করা যাতে এডিস মশার লাভা বিস্তার না করতে পারে।

৩। ফুলের টব, প্লাস্টিকের পাত্র, পরিত্যক্ত টায়ার, প্লাস্টিকের ড্রাম, মাটির পাত্র, বালতি, টিনের কৌটা, ডাবের খোসা, নারকেলের মালা, কনটেইনার, মটকা, ব্যাটারি সেল ইত্যাদি প্রতিনিয়ত পরিষ্কার করা; যাতে এডিস মশা বিস্তার না করতে পারে।

৪। রাতে বা দিনে ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা।

৫। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ স্থাপন করা।

৬। মশা নিধনের ওষুধ, স্প্রে কিংবা কয়েল ব্যবহার করা।

৭। জানালাতে মশা প্রতিরোধক নেট ব্যবহার করা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন