অনলাইন ডেস্ক:
বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরি প্রসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ‘এটা (শ্বেতপত্র) ঐতিহাসিক দলিল। এখান থেকে জুলাই অভ্যুত্থানের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা বের করা যাবে।’
রবিবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার কাছে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর শ্বেতপত্র তৈরির জন্য গঠিত কমিটি চূড়ান্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এ সময় তিনি এসব কথা বলেন।
বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং অর্থনীতিতে অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্তে গঠিত শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে কমিটি প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেয়।
এ সময় কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘কোনও প্রস্তুতি ছিল না, এসডিসির কী উপলক্ষ, এর হিসাব কে রাখবে। বলেছে একটা কমিটি করে ফেলান, আমি বললাম তুমি করো। বললো ঠিক আছে। তখন থেকে সূত্রপাত। তার পর ফরমালি যাত্রা শুরু। অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের সঙ্গে সঙ্গে দ্রুততার সাথে তৈরি করার উদ্যোগ নিলাম এজন্য, যত দেরি হবে তত দীর্ঘস্থায়ী ফল পাওয়া নাও যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘আজ যে দলিল এখানে উপস্থাপন হবে এটা প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ। প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপ প্রস্তুত থাকবে মানুষের প্রশ্নের জবাবের জন্য।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘আমি আনন্দিত এটা জেনে যে, কাজটা করতে গিয়ে একটা বৃহৎ গোষ্ঠীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করা হয়েছে । এবং তৃণমূল পর্যায়ে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অভিমত নেওয়া হয়েছে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্বেতপত্রে প্রস্তাবিত যে সংস্কার বা পদক্ষেপের কথা বলা হয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার তা গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার গঠিত এই কমিটি কোনও হস্তক্ষেপ ছাড়া সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে শ্বেতপত্র প্রস্তুত করবে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে থাকলেও (এমন শ্বেতপত্র) বাংলাদেশে এই প্রথম। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের ফসল হিসেবে একটি বৈষম্যহীন অর্থনীতি ও সমাজ প্রতিষ্ঠায় আমরা এটি কাজে লাগাতে পারবো।’
উল্লেখ্য, আনুষ্ঠানিকভাবে শ্বেতপত্রের প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে আগামীকাল সোমবার (২ ডিসেম্বর)। জানা গেছে, ২৪টি অধ্যায়ের সন্নিবেশিত হয়েছে দুর্নীতির বর্ণনা। অনিয়মের ফিরিস্তি তুলে ধরার পাশাপাশি এতে আছে প্রতিবেদনের ভূমিকা, উপসংহার ও অন্যান্য সংযুক্তি।