হোম অন্যান্যশিক্ষা এইচএসসিতে এবারও এগিয়ে মেয়েরা

শিক্ষা ডেস্ক:

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় কৃতকার্যদের অভিনন্দন জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এবারও ফলাফলে দেখা যাচ্ছে ছাত্রীদের পাসের হার বেশি। কাজেই ছেলেরা পিছিয়ে থেকো না, সমান তালে চলো। এ ছাড়া অকৃতকার্যদের সহানুভূতি দেখাতে অভিভাবকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

রোববার (২৬ নভেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার হস্তান্তর অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি, উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা হয়তো ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদেরও হতাশ হওয়ার কিছু নেই। অভিভাবকদের বলবো, যারা উত্তীর্ণ হতে পারেনি, তাদের সহানুভূতি দেখাতে হবে। সে যে পারে নাই, সেটার কারণ বের করে তাকে আরও মনোযোগী হতে উৎসাহী করতে হবে। তাকে ধমক বা গালমন্দ করা ঠিক হবে না। এটা আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, কাউকে ধমক বা গালমন্দ করবেন না। কোমলমতি এই ছেলেমেয়েগুলো নিতে পারে না। পরে তারা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে।

নির্ধারিত সময়ে ফলাফল প্রকাশ পাওয়ায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানিয়ে সরকার প্রধান বলেন, চলমান জ্বালাও পোড়াও এর মধ্যে যথা সময়ে ফলাফল প্রকাশ এটি বড় ব্যাপার। সবাইকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। সবার প্রচেষ্টায় আমরা এটি করতে পেরেছি।

বর্তমান সরকার গবেষণার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, গবেষণার ওপর সবেচেয়ে গুরুত্ব দিতে চাই। বিজ্ঞান শিক্ষায়ও আমরা বেশি গুরুত্ব দিচ্ছি। ১২টি বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় করেছি। কারিগরি শিক্ষায়ও যাতে ছেলেমেয়েরা এগিয়ে আসে, সেদিকে আমরা নজর দিচ্ছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, গত বছরের তুলনায় ফলাফলে বেশ কিছু ইতিবাচক লক্ষণ আছে। এটা আমাদের ইতিবাচক উদ্যোগের ফলেই হয়েছে বলে মনে করি। শিক্ষার প্রচারে সংসদ টেলিভিশনকে আরও ভালো ভাবে কাজে লাগানো যেতে পারে।

শেখ হাসিনা বলেন, নির্বাচন ঠেকানোর নামে ২০১৪ সালের ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে বিএনপি-জামায়াত। ২০১৮ সালেও তারা এমন অস্বস্তিকর পরিবেশ তৈরি করতে চেয়েছিল। কিন্তু পারেনি। পরে করোনা এসে আমাদের সবাইকে ভীতসন্ত্রস্ত করে দিল। নানাভাবে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। কিন্তু ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় শিক্ষার গতি অব্যাহত রাখার ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। সে সময় সমস্ত বিষয়ে পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে, তখনও ৬০ দিনের মধ্যে ফলাফল দেওয়ার রীতিটা ঠিক রাখা হয়েছে।

এ বছর দেশের ১১টি শিক্ষাবোর্ডে গড় পাসের হার ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। গত বছর অর্থাৎ ২০২২ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় গড় পাসের হার ছিল ৮৫ দশমিক ৯৫ শতাংশ। সেই হিসাবে এবার পাসের হার ৭ দশমিক ৩১ শতাংশ কমেছে।

ফলাফল বিশ্লেষণে জানা যায়, পাসের হারেও এগিয়ে ছাত্রীরা। ছাত্রীদের পাসের হার ৮০ দশমিক ৫৭ শতাংশ। ছাত্রদের পাসের হার ৭৬ দশমিক ৭৬ শতাংশ।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন