হোম ঢাকা উপকূল এক্সপ্রেস: ২ দিন ধরে নষ্ট ট্রেনের এসি, প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি

উপকূল এক্সপ্রেস: ২ দিন ধরে নষ্ট ট্রেনের এসি, প্রচণ্ড গরমে যাত্রীদের ভোগান্তি

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 54 ভিউজ

অনলাইন ডেস্ক:

ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনের কয়েকটি বগির শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্রে (এসি) ত্রুটি রয়েছে। ফলে ঠান্ডা বাতাস বের হচ্ছে না। তাপপ্রবাহের এ সময় বাতাস না পেয়ে বিপাকে পড়েছেন যাত্রীরা।

অভিযোগ আছে, দুদিন ধরে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কয়েকটি বগিতে ঠান্ডা বাতাস বের হচ্ছে না। যা বের হচ্ছে তা-ও যাত্রী সংখ্যার তুলনায় খুবই সামান্য। এ ছাড়া এসব বগিতে অতিরিক্ত যাত্রী তোলারও অভিযোগ রয়েছে। এতে যাত্রীদের শীতল থাকার পরিবর্তে ঘামতে হচ্ছে।

শুক্রবার ৪৬তম বিসিএস প্রিলিমিনারি পরীক্ষা ছিল। ফলে ট্রেনে যাত্রীর চাপ বেশি ছিল। এদিন বিকেল সোয়া ৩টায় নোয়াখালীর উদ্দেশে কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করে উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেন। এ সময় এসি বগিতে দেখা যায় কিছু যাত্রী দাঁড়িয়ে আছেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রক যন্ত্র থেকে ঠান্ডা বাতাস কম বের হচ্ছে। ফলে ভেতরে গরম অনুভূত হচ্ছে। ফ্যান ছেড়েও রেহাই মিলছে না। আবার কিছু জায়গায় ফ্যানও নষ্ট।

পৌনে ৪টার দিকে ট্রেন বিমানবন্দর রেলস্টেশনে থামতে হুমড়ি খেয়ে ভেতরে ঢোকেন যাত্রীরা। যাত্রীতে ঠাসা হয়ে বেশিরভাগ বগি। ফলে এসি বগিতে গরম অনুভূত হয় আরও বেশি। প্রত্যেক যাত্রী ঘামাতে থাকেন। কেউ কেউ আবার হাতপাখা কিংবা কাগজজাতীয় কিছু দিয়ে বাতাস করছেন।

বিসিএস প্রিলি দিতে ভৈরব থেকে ঢাকা এসেছিলেন শফিক নামে এক যুবক। পরীক্ষা শেষে উপকূল ট্রেনে নিজের বগিতে ওঠেন। কিন্তু এসি বগিতে গরম থাকায় বিরক্ত বোধ করেন তিনি। শফিক বলেন, গরমে অবস্থা খারাপ। ঠান্ডা বাতাস বের হওয়ার বদলে গরম লাগছে। ঘামে সবার অবস্থা কাহিল।

আরাফাত নামে আরেক যুবক বলেন, নষ্ট জানলে এসি বগির টিকিট কাটতাম না। প্রয়োজনে নরমাল বগিতে যেতে পারতাম। এখন গরমে অবস্থা শেষ।

বগির দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র ঘেঁটে দেখেও শীতল বাতাস বের হওয়ার ব্যবস্থা করতে পারেননি। তিনি জানান, দুদিন ধরে কয়েকটি বগিতে ঠান্ডা বাতাসের প্রেশার কম। কর্তৃপক্ষকে জানানোর পরও মেরামত হয়নি। সবার ভোগান্তি বুঝেও এখন কিছু করার নেই।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান যান্ত্রিক প্রকৌশলী (পূর্ব) তাপস কুমার দাস বলেন, এ বিষয়ে জানা নেই। প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী এ ব্যাপারে বলতে পারবেন।

আর বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্টগ্রাম অঞ্চলের প্রধান বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী (পূর্ব) মো. হাবিবুর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ এখন পর্যন্ত আসেনি। মাত্রই জানলাম। খোঁজ নিয়ে প্রমাণ পেলে দ্রুত সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন