মোস্তফা কামাল,নড়াইল:
নড়াইলের কালিয়ায় ৮টি পরিবারে বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসময় হামলার শিকার হয়েছে বেশ কয়েক নারী। চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে ভ’ক্তভোগী এসব পরিবারে ঈদের আনন্দের পরিবর্তে চরম উদ্বেগ উৎকন্ঠা সীমাহীন দুর্দশা বিরাজ করছে। পুলিশ বলছে পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত এ সৃষ্টি হয়েছে। তবে পরিস্থিতি বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
রোববার (০১ মে) রাতে চাঁচুড়ি ইউনিয়নের আমবাড়ি গ্রামে এ হামলার ঘটনা ঘটে। পুলিশ বলছে, পূর্ব বিরোধকে কেন্দ্র করে উদ্ভুত এ পরিস্থিতি, বর্তমানে তাদের নিয়ন্ত্রণে। সরেজমিন আমবাড়ি গ্রামে গিয়ে দেখা গেছে, ঘরের বেড়া টিনের, চালা, কুপিয়ে ছিন্ন-ভিন্ন করা হয়েছে। গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে জানালা-দরজা। বসতঘর, রান্নাঘর, গোয়ালঘর, কোনো কিছুই বাদ যায়নি হামলা থেকে। একদিন আগের সাজানো-গোছানো বাড়িঘর তছনছ হয়ে আছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে আমবাড়ি গ্রামের লিকু শেখ ও আলম শেখ পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গত বছরের ৩০ আগস্ট লিকু শেখের পক্ষের কাতেবর শেখ খুন হলে আলম পক্ষের ৪০টিরও বেশি পরিবারের পুরুষ মামলা হামলার ভয়ে গ্রাম ছাড়া হয়ে যায়। সেই থেকে গ্রামছাড়া এসব পরিবারের কয়েকজন রোববার বাড়ি ফিরতে গেলে প্রতিপক্ষ লিকু পক্ষের হামলার শিকার হয়।
এসময় তারা দৌড়ে পালিয়ে কোনো মতে প্রাণে রক্ষা পায়। হামলার শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগ, লিকু শেখের নেতৃত্বে দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত ৩০ থেকে ৪০ জন হামলায় অংশ নেয়। আধাঘণ্টা থেকে ৪০ মিনিট স্থায়ী হামলায় কামরুল শেখ, মনির শেখ, হাবিবুর শেখ, রহমান, ছালাম ওহাব শেখের বাড়িসহ কমপক্ষে ৮টি পরিবারের বাড়িঘরে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চলানো হয়। লুটে নেওয়া হয় সবকিছু। হামলার শিকার হয় বেশ কয়েকজন নারী। ভুক্তভোগীরা এ হামলার বিচার চেয়েছেন।
এলাকার অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে পূর্ব বিরোধের জেরে কয়েকটি বাড়িতে ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে জানিয়ে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ তাসমীম আলম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি বর্তমানে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ও তাদের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।