মোংলা প্রতিনিধি :
ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আতঙ্কে সুন্দরবন বিভাগের শরখলো ও চাঁপাই রেঞ্চের ঝুকিপূর্ণ ৮টি অফিস বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। এসকল অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা ও বনরক্ষিসহ ৫০ জনকে নিরাপদে আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
এসব অফিস গুলোর মধ্যে রয়েছে শরণখোলা রেঞ্জের, দুবলা, ককিলমুনি, শ্যালা, কচিখালী ও চড়খালী টহলফাঁড়ি বন অফিস। চাঁদপাই রেঞ্জের মধ্যে রয়েছে, তাম্বুলবুনিয়া, জোংড়া ও ঝাপসি টহলফাঁড়ি বন অফিস।
বাগেরহাট পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মুহাম্মদ বেলায়েত হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ইয়াস আগামী ২৬ মে (বুধবার) বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকায় আঘাত হানবে। বিষয়টি মাথায় রেখে সুন্দরবনে অবস্থান করা জেলে , বাওয়ালি ও মৌয়ালদের নিরাপদে সড়িয়ে নেয়া হচ্ছে। আশা করছি প্রতিবারের এবারও সুন্দরবন নিজে বুক পেতে উপকূলবাসীদের নিরাপদ রাখবে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে মোংলা বন্দরকে ২ নম্বর দূরবর্তী হুশিয়ার সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অফিস। এনিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষ, পৌরসভা ও উপজেলা প্রশাসন পৃথক প্রস্তুতি সভা করেছেন।
দুর্যোগ মোকাবেলা ও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে সকল ধরণের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। তবে ঝড় নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ভীতিও রয়েছে।
এবার বেশ আগে থেকে ঝড়ের পূর্বাভাস পাওয়ায় ব্যাপক প্রস্তুতি নেয়ায় সময় সুযোগ পেয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। সাধারণ লোকজন বলছে, ভয় তো আছেই, করবো কি আমাদের তো কাঁচা ঘর, ঝড় আসলে মসজিদে, বিল্ডিংয়ে যেতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কমলেশ মজুমদার বলেন, মোংলায় ১০৩ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে। এছাড়া প্রায় ১৪শ স্বেচ্ছাসেবকও প্রস্তুত রয়েছে। খাবার পানি, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, ওষুধ ও শুকনো খাবার মজুদ করেছেন তারা।
এদিকে বেশি নজরদারী করা হচ্ছে মোংলার কানাই নগর, চিলা, জয়মনিরঘোল এলাকার বাসিন্দাদের প্রতি। কারণ এ এলাকাগুলো অধিক ঝুঁকিতে রয়েছে।
এছাড়া প্রস্তুতি সভার করে দুর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও বর্ডার গার্ডও।