হোম আন্তর্জাতিক ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ধর্ষণ-নির্যাতন

ইসরায়েলি কারাগারে ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ধর্ষণ-নির্যাতন

কর্তৃক Editor
০ মন্তব্য 37 ভিউজ

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরায়েলি কারাগারে আটক থাকা অবস্থায় এক ফিলিস্তিনি সাংবাদিককে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং তাকে নানাবিধ যৌন নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এমনকি প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করেও তার ওপর নির্যাতন চালানো হয়।

ফিলিস্তিন সেন্টার ফর দ্য প্রোটেকশন অব জার্নালিস্টস-এর বরাত দিয়ে মিডল ইস্ট মনিটর জানায়, ওই সাংবাদিক যৌন নির্যাতনের পর গুরুতর মানসিক ট্রমায় ভুগছেন এবং দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে মানসিকভাবে অস্থিতিশীল অবস্থায় ছিলেন।

সংস্থাটি এই ঘটনাকে ইসরায়েলি কারাগারগুলোতে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে সংঘটিত সবচেয়ে গুরুতর অপরাধগুলোর একটি বলে উল্লেখ করেছে।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটে স্দে তাইমান আটকশিবিরে। সেখানে সাংবাদিকসহ আরো সাতজন বন্দিকে ক্যাম্পের একটি নির্জন স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের হাতকড়া পরানো, চোখ বাঁধা অবস্থায় গণধর্ষণ করা হয়। উপস্থিত ইসরায়েলি সেনাদের কেউ কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে এই নির্যাতনের ভিডিও ধারণ করে এবং ভুক্তভোগীদের উপহাস করে। কোনো ধরনের আইনগত কিংবা মানবিক সুরক্ষা তাদের দেওয়া হয়নি।

পরিবারের নিরাপত্তার কারণে সাংবাদিকটির পরিচয় ‘ইয়াহিয়া’ ছদ্মনামে প্রকাশ করা হয়েছে। তিনি জানান, নির্যাতনটি প্রায় তিন মিনিট স্থায়ী ছিল, কিন্তু এর মানসিক প্রভাব এতটাই ভয়াবহ ছিল যে পরবর্তী দুই মাস তিনি স্বাভাবিকভাবে চিন্তা বা কাজ করতে পারেননি। চিকিৎসক ও মানবাধিকার কর্মীরা তার বর্ণিত উপসর্গকে একিউট স্ট্রেস ডিসঅর্ডার এবং পোস্ট-ট্রমাটিক স্ট্রেস ডিসঅর্ডার–এর সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে উল্লেখ করেছেন।

২০ মাস ইসরায়েলি কারাগারে কাটানো ইয়াহিয়া আরো জানান, এটি কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, বরং আটক ব্যক্তিদের শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে ফেলার উদ্দেশ্যে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষের একটি পদ্ধতিগত নির্যাতন নীতির অংশ।

তিনি আরো জানান, তাকে প্রশিক্ষিত কুকুর ব্যবহার করে নির্যাতন চালানো হয়, যা আন্তর্জাতিক আইন ও বিভিন্ন মানবাধিকার কনভেনশনের স্পষ্ট লঙ্ঘন।

এই বর্বর হামলার ঘটনায় আন্তর্জাতিক মহলে গভীর উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো পুরো ঘটনার স্বাধীন তদন্ত দাবি করেছে।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন