হোম আন্তর্জাতিক ইসরাইলের বিমান হামলা: গাজায় ১৩০০ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি অভিযানে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। গত ৮ দিন ধরে টানা বিমান হামলায় ১ হাজার ৩০০ ভবন পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। এছাড়া আরও অন্তত ৩ হাজার ৭৫০টি বাড়ি ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শনিবার (১৪ অক্টোবর) জাতিসংঘ এ তথ্য জানিয়েছে।

জাতিসংঘের মানবিক সংস্থা ওসিএইচএ বলেছে, ওই ভবনগুলোর ‘৫ হাজার ৫৪০টি আবাসন ইউনিট’ ধ্বংস হয়ে গেছে এবং আরও প্রায় ৩ হাজার ৭৫০টি বাড়ি এত বাজেভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যে এগুলো এখন বসবাসের অনুপযোগী।

গত সপ্তাহে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের অভিযানের পরই গাজায় বিমান হামলা শুরু করে ইসরাইল। এরপর গত ৮দিন ধরে অবিরাম হামলা চলছেই। এতে উপত্যকায় এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৯০০ ফিলিস্তিনির মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন সাড়ে ছয় হাজারেরও বেশি।

আল জাজিরার প্রতিবেদন মতে, গাজা ‍উপত্যকায় ইসরাইলের বিমান হামলায় গত ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ের মধ্যে ২৫৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ২০ শিশুও রয়েছে। এছাড়া হামলায় আহত হয়েছেন ১ হাজার ৭৮৮ জন।

ইসরাইলের বিমান হামলায় এরই মধ্যে চার লক্ষাধিক ফিলিস্তিনি বাস্তুচ্যুত হয়েছে। এরই মধ্যে ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জাতিসংঘকে জানিয়েছে, ওয়াদি গাজার উত্তরে বসবাসকারী প্রত্যেককে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণ গাজায় স্থানান্তরিত করতে হবে।

গাজা শহরের সকল বেসামরিক নাগরিকসহ উত্তর গাজার ১১ লাখ মানুষকে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দক্ষিণে সরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী। শিগগিরই স্থল আক্রমণ শুরু করতে যাচ্ছে তারা।

কিন্তু হামাস গাজার বাসিন্দাদের ইসরাইলের এই সতর্কবার্তা অনুসরণ করতে নিষেধ করেছে। এক বিবৃতিতে হামাস অথরিটি ফর রিফিউজি অ্যাফেয়ার্স উত্তরের বাসিন্দাদের উদ্দেশে বলেছে,‘আপনাদের নিজেদের ঘরেই অবিচল থাকুন এবং এই জঘন্য মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধের দৃঢ় মোকাবিলা করুন।’

পুরো গাজা উপত্যকার অর্ধেক মানুষেরই বসবাস এই অঞ্চলে। বেঁধে দেয়া নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দক্ষিণে চলে যেতে হবে গাজা শহরের সব নাগরিককে। ইসরাইলের ওই নির্দেশের পর এরই মধ্যে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এলাকা ছেড়েছে। তবে বেশিরভাগই নিজ নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।

সম্পর্কিত পোস্ট

মতামত দিন