আন্তর্জাতিক ডেস্ক :
অধিকৃত পশ্চিম তীর থেকে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদে ইসরাইলি হাইকোর্টের নির্দেশের পর নতুন করে অনিশ্চয়তায় পড়েছে শত শত পরিবার। তবে নিজেদের আদিভূমি ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি বাসিন্দারা। এদিকে ইসরাইলের উচ্ছেদের এ পরিকল্পনাকে ‘জাতিগত নিধন’ বলে আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। পশ্চিমা বিশ্ব এ বিষয়ে বরাবরের মতোই নীরব থাকলেও, এক ফিলিস্তিনির হামলায় তিন ইসরাইলি নিহতের নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
চার দশকের বেশি সময় ধরে অনিশ্চয়তায় দিন কাটছে তাদের। ১৯৮১ সালে অঞ্চলটিকে ইসরাইলি সেনাবাহিনীর প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘোষণার পর থেকে ফিলিস্তিনিদের অনিশ্চয়তার শুরু। অধিকৃত পশ্চিম তীরের মাসাফের ইয়াত্তা অঞ্চলের বেদুইন সম্প্রদায়ের কয়েক হাজার ফিলিস্তিনি এর মধ্যেই চাষাবাদসহ বিভিন্নভাবে জীবিকা নির্বাহ করে আসছেন।
কিন্তু গেল চার দশকে ফিলিস্তিনিদের স্থাপনা গুঁড়িয়ে দেওয়া, সম্পত্তি দখল কিংবা বিধিনিষেধ আরোপ করে দমন-পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে তেল আবিব। তবে চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনি বেশ কয়েকটি পরিবারকে উচ্ছেদে ইসরাইলি আদালতের দেওয়া রায়ে নতুন করে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে তাদের মাঝে। যদিও আদিভূমি ছেড়ে অন্য কোথাও যেতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ফিলিস্তিনিরা। খবর আলজাজিরার।
স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, আমার যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। ইসরাইল সরকার বা কেউই আমাদের সরাতে পারে না। আমরা আমাদের জায়গা ছেড়ে কোথাও যাব না।
এভাবে ফিলিস্তিনিদের নিজ ভূমি থেকে উচ্ছেদের সিদ্ধান্তকে জাতিগত নিধন আখ্যা দিয়েছেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। এর বাস্তবায়ন করলে তেল আবিবকে ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে বলেও সতর্ক করেন তিনি।
এদিকে, ফিলিস্তিনিদের ওপর অব্যাহত দমন-পীড়নের বিষয়ে মন্তব্য না করলেও তেল আবিবে এক ফিলিস্তিনির হামলায় তিন ইসরাইলি নিহতের নিন্দা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
